পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান না দেয়ার অভিযোগে তিন মাদরাসা ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় ১৮ বছর বয়সী দিলকাশের হাত ভেঙে যাওয়ায় তার হাতে প্ল্যাস্টার করতে হয়েছে। অন্য আহত ছাত্ররা হলো আজমল এবং নাঈম। আহত ওই ছাত্ররা বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা। তারা দিল্লির বেগমপুরে রমেশ এনক্লেভস্থিত ফয়েজ উল উলুম গওসিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে।
গতকাল (বুধবার) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা ছাত্রদের অভিযোগ, ‘জয় মাতা কী’ এবং ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতে না চাওয়ায় তাদের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। লাঠির আঘাতে মুহাম্মদ দিলকাশের হাত ভেঙে গেছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিক্রমজিৎ সিং বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার ৩২৩, ৩২৫ এবং ৩৪১ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। দিলকাশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
মাদরাসা ছাত্রদের অভিযোগ, তারা গত ২৬ মার্চ মাদরাসার কাছাকাছি একটি পার্কে বেড়াতে গিয়েছিল। এখানে আগে থেকেই কয়েকজন যুবক বসেছিল। তাদের দেখে ওই ব্যক্তিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলতে বলে। তারা তা বলতে না চাইলে মদ পান করতে থাকা ওই লোকেরা তাদের মারধর করে।
সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দেয়ার পক্ষে সাফাই দেয়া হয়েছে। এমনকি এই স্লোগানের ভিত্তিতেই কেউ দেশপ্রেমিক কি না তা নির্ণয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : আইআরআইবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।