পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বহাল থাকায় শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি ইসলামী দল, সংগঠন, উলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখগণ দাবি তুলেছেন রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে রিট খারিজের পর এখন আল্লাহ তায়ালার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে পুনঃস্থাপন, সরকারদলীয় নির্বাচনী ইশতেহার কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না এবং আল্লাহ রাসূল (সা:) ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সংবিধানে সংযোজন করে ইসলামী আইনের অনুশীলন শুরু করতে হবে। আর তখনই তারা পরিপূর্ণ খুশি হবেন।
আঞ্জুমানে আল বাইয়্যেনাতের উদ্যোগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বহাল থাকার প্রেক্ষিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সাইয়্যেদুল আইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটির সভাপতি আল্লামা মুহাম্মদ মাহবুব আলম বলেছেন, এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমান রাষ্ট্রধর্মের পক্ষে। রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে বহাল থাকায় তারা শুকরিয়া আদায় করেছেন। কিন্তু এতেই তারা পরিপূর্ণ খুশি নন। মুসলমানরা খুশি তখনই হবে যখন সরকারদলীয় নির্বাচনী ইশতেহার ‘কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না’ একথা এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস এবং আল্লাহ রাসূল (সা:) ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত করে সমাজে ইসলামী আইনের অনুশীলন শুরু করা হবে। তিনি বলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে উল্লিখিত বিষয়গুলো যখন সংযোজন করা হবে তখনই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমান এটাই চায় এটাই গণতন্ত্র।
আল্লামা মাহবুবুল আলম বলেন, যারা রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে রিট করেছিল তারা ’৭২-এর ধর্মনিরপেক্ষতা অনুধাবন করতে পারেনি। ধর্মনিরপেক্ষতা থাকার পরও আমরা ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছি। আর তারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে যা বুঝে তা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ কোনো ধর্মই থাকবে না। আমাদের দেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না একথা নির্বাচনী ইশতেহারে রেখেছেন এবং সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখেছেন। আমাদের প্রত্যাশা, মুসলমানদের উল্লিখিত অন্য দাবিসমূহের বিষয়ে তিনি যথাযথ গুরুত্ব দেবেন।
মাহবুব আলম বলেন, রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে রিট খারিজ থেকে এটাই প্রমাণিত যে, এদেশে ইসলামী চিন্তা- চেতনাকে কেউ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারবে না। যারা এরূপ অপচেষ্টা করেন তাদেরকে তা বুঝেই এদেশে বসবাস করতে হবে। কারণ এদেশ সকল ধর্মের লোকদের নিরাপদে বসবাসের দেশ।
ইসলামী আন্দোলন
সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং হিজাববিরোধী আইন বাতিল করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেছেন।
গতকাল সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। এ সময় মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, নবনির্বাচিত চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়েরসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের এদেশে ইসলামী সেন্টিমেন্টকে আঘাত করে কেউ যেন কোনো কিছু করতে না পারে সংবিধানে এ ক্লোজ গ্যারান্টি রাখতে হবে।
আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর :
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার বিতর্কিত রীট খারিজ করে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখায় বিচারপতি, আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্ন্তজাতিক খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমীর ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকায় দেশ বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলো। তিনি বলেন, এ রায়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে। এখন থেকে কুচক্রিমহল ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে চিন্তা-ভাবনা করবে।
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ :
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখায় বিচারপতিগণ ও আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ৯০% মুসলমানের ঈমানী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।