পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পোষা গণমাধ্যম গণতন্ত্রের ভিতকে দুর্বল করে দেয়, গণতন্ত্রকে খোঁড়া করে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পোষা গণমাধ্যম চায় না। আমরা গণতন্ত্রের বিকাশের পক্ষে আছি। আমরা সবল, সক্রিয়, সমালোচনামুখর গণতান্ত্রিক গণমাধ্যম চাই। এজন্য জঙ্গিবাদের পক্ষ নেওয়া হলুদ সাংবাদিকতাকেও আমরা সমর্থন করতে পারি না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত ও ব্যক্তিগতভাবে জানালে আমি তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। এই আইনটি এখনও খসড়ার পর্যায়ে আছে। সংশোধন শেষে তা আরও কয়েক মাস পর সংসদে বিল আকারে যাবে। তাই চিন্তার কিছু নেই।
মন্ত্রী জানান, অচিরেই ‘গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরির শর্তাবলী’ নামে একটি বিল আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের করা ‘সাংবাদিক-কর্মচারী অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে।
এর মাধ্যমে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মী ও কর্মচারীদের অধিকার, চাকরির নিশ্চয়তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, বাংলাদেশ সেইসব গুটিকয়েক দেশের একটি, যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশের সংবিধানে সংবাদপত্র এবং সংবাদকর্মীদের জন্য আলাদাভাবে বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীদের স্বাধীনভাবে, আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে মতামত, সমালোচনা প্রকাশের কথা উল্লেখ ছিলো। এটা ছাড়া গণমাধ্যমের মৃত্যু হয় বলেই মনে করতেন বঙ্গবন্ধু। একইসঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা, নিয়মিত বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ ও কল্যাণের বিষয়টিও সংবিধানে উল্লেখ ছিলো।
ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।