পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সাতটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে; গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৪১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও বেসিকের ঘাটতির পরিমাণ সাত হাজার ৬২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর তিন বেসরকারি ব্যাংক কমার্স, ফারমার্স ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের মোট মূলধন ঘাটতি এক হাজার ৭৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের উত্তরে গতকাল সোমবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরুর পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ২০০৫-২০০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার পুনঃমূলধনীকরণ সুবিধা দিয়েছে, যা ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোতে মূলধন হিসাবায়নে যুক্ত হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারি ব্যাংকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি ছিল সাত হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সামগ্রিকভাবে মোট ঘাটতি প্রভিশনের পরিমাণ ছয় হাজার ৩৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ৯০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ৮৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৮৯ কোটি ৯ লাখ টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে।
ঋণের শ্রেণিমান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংককে নির্ধারিত হারে প্রভিশন বা নিরাপত্তাসূচক অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। সাধারণ ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫ শতাংশ প্রভিশন রাখার নিয়ম। আর নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ ঋণে যথাক্রমে ২০, ৫০ ও ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। প্রভিশন ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারে না।
এর আগে গত জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেয়া হয়েছে যাদের, তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। যে ১০ বছরের খেলাপি ঋণের হিসাব অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন, তার নয় বছরই ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। আর খেলাপি ঋণের ওই অর্থ দিয়ে দুটি পদ্মা সেতুর ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত বছরের শেষ দিকে ফারমার্স ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ার পর অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নিতে শুরু করলে আতঙ্ক তৈরি হয়।
সে প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স¤প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশে ব্যাংক খাতে কোনো তারল্য সংকট নেই। একটি বেসরকারি ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে পুরো ব্যাংকিং খাতে কিছু মানুষ ‘অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ খুঁজছে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।