পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক: বিভিন্ন স্থানে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে গভীর রাতে ফাল্গুনের অসময়ে ঝড় বৃষ্টি হয়ে গেছে। এতে সদর ও নলডাঙ্গার হালতি বিলসহ আশে পাশের বিভিন্ন মাঠের ফসল নুয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির শষ্কা করছে কৃষকরা। অনেক গাছপালার ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে আমের মুকুলের ব্যাপত ক্ষতির পাশাপাশি কিছু টিনের বাড়িঘরের চালাও লন্ডভন্ড হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রোববার রাত দেড় টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রবল বেগে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। এতে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলসহ আশে পাশের বিভিন্ন মাঠের ভুট্রা, গম, চারা পেঁয়াজ, সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়ে ফলনে ব্যাপক ক্ষতির শষ্কা করছে অনেক কৃষক। এছাড়াও অনেক গাছপালার ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন আম বাগানের আমের মুকুল ঝড়ে পড়েছে। ২০-২৫টি টিনের বাড়িঘরের চালা লন্ডভন্ড হয়েছে। খাজুরা ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, আমার ওয়ার্ডের মহিষডাঙ্গা, গৌরপুর, ধুলাউরি ও গুচ্ছগ্রামের অন্তত ৫০ বিঘা গম, ভুট্টা মাটিতে লুটে পড়েছে। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, গত রাতে যে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে তাতে গম, ভুট্রা ও পেঁয়াজ লুটে পড়লেও ফলনে তেমন ক্ষতি হবে না।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনা জেলার উপর দিয়ে রোববার মধ্য রাতে ফাল্গুনের প্রথম ঝড় ও-বৃষ্টি বয়ে যায়। রাত সোয় ১টার দিকে প্রবল বেগে ঝড় হাওয়া শুরু হয়। এরপরই নামে বৃষ্টি সেই সাথে শুরু হয় বজ্রপাত। প্রায় একই সময় জেলার ৯টি উপজেলার উপর ফাল্গুনের প্রথম ঝড়-বৃষ্টি বয়ে যায় বলে জানা গেছে। কয়েক স্থানে গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ে। আম-মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। জেলা দুযোর্গ ও ব্যবস্থাপনা দপ্তর(ত্রাণ দপ্তর) সূত্রে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ‘ঝড়ে প্রাণ হানীর কোন খবর তারা পাননি।’ তবে কয়েকটি পাবনা সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় গাছ পালা উপড়ে গেছে। প্রায় শতাধিক দুর্বল কাঁচা-ঘর বাড়ি
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর ৩টি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক হারে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে টমেটো, তামাক , মরিচ সহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এছাড়া নীলফামারীর ৫টি উপজেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। সোমবার সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ কালো মেঘে আছন্ন হয়ে পড়ে গোটা জেলা। এর কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। কৃষি বিভাগ সূত্র মতে নীলফামারী ৫টি উপজেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হলেও নীলফামারী সদর , জলঢাকা ও কিশোরগজ্ঞ উপজেলায় শিলা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার রামনগর, টুপামারী, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা, শিমলবাড়ী ও কিশোরগজ্ঞ উপজেলার বড়ভিটা, রনচন্ডী ও সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক হারে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা, কাউছার আহমেদ ও আবু হানিফা জানান বাহালীপাড়া, চৌধুরী বাজার, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ব্যাপক হারে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ওইসব গ্রামের টমোটো, তামাক, মরিচ সহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রোববার রাতে ভালুকা উপজেলার উপর দিয়ে আকশ্মিক ভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, গাছ পালা ,পোল্ট্রি খামার ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে বয়ে যাওয়া ঝড়ে উপজেলান হবিরবাড়ি বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার টিনের চালা উড়ে যায় । উপজেলার কাশর, জামিরদিয়া, পাড়াগাও, মেহেরাবাড়ি, আশকা, কাঠালি, ডাকাতিয়া ,তালাব, সিটাল পাড়া, আঙ্গারগাড়া, ঢালুয়া, পাইলাব, কুল্লাব, মল্লিকবাড়ি, উথুরা ,মেদুয়ারী সহ বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , ঘরবাড়ি, গাছ পালা ,আখ ক্ষেত, পোল্ট্রি খামার ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বিদ্যুতের লাইন এর খুটি হেলে পরায় ও তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।
বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের বোদায় হঠাৎ ব্যাপক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে সদ্য গুটি আসা আম ও আমের মুকুল, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এবং ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গতকাল সোমবার উপজেলায় ঝড়ের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি ও গুড়ি গুড়ি পাথর পড়েছে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে এই ঝড়-বৃষ্টি-পাথর পড়া। এ রির্পোট লেখা পযন্ত কোথাও অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া য়ায়নি। এদিকে ফাল্গুন মাস চলছে বৈশাখ মাস শুরু না হতেই হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।