Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জাগপা’র

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রক্তে লাল পিলখানার মাটি ও শোকাহত বাংলাদেশ। ২৫ ফেব্রæয়ারি নিহত ৫৭ জন সেনা হত্যার বুকচাপা কষ্ট নিয়ে পিলখানা শহীদদের স্মরণ ও বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বলেছেন, পিলখানায় নির্মম-নৃশংস হত্যাযজ্ঞ জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধেও দেখেনি। বিশ্বের ইতিহাসে কালো ঘটনা সেইদিন বাংলাদেশে ঘটেছিল।
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর আসাদ গেট জিইউপি মিলনায়তেন জাগপা আয়োজিত পিলখানা ট্র্যাজেডি-ভিনদেশী চক্রান্ত-রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রেহানা প্রধান বলেন, দেশবাসীর জিজ্ঞাসা সেইদিন শাসকগোষ্ঠি ৩৬ ঘণ্টা কি করেছিল? কিসের স্বার্থে? কার স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তাদের হত্যা করা হল? কারা আমাদের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করে বাংলাদেশকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়? কারা আমাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি? কারা গণতন্ত্রকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত? সুতরাং পিলখানার রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই।
তিনি বলেন, সাহস করে সত্য বলতে হচ্ছে। বাংলার আকাশে এখনো ভিনদেশী শকুনের ছায়া। ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশে আকস্মিক সফর করলেন কেন? ২৫ তারিখ ভোর ৪ টায় বিশেষ বিমানে গোপনে দিল্লী চলে গেলেন! ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে দিল্লীর সুজাতা সিং কেন বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন? এখন আমাদের ভাবতে হবে ছায়ার নেপথ্যে কারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে? কারা দিল্লীর গোলামির শিকলে জাতিকে আবদ্ধ করতে চায়? দেশবাসী হুশিয়ার থাকবেন।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি হত্যার জন্য রাষ্ট্রীয় ছুটিসহ দেশ হাজার কোটি টাকা লোকসানের সম্মুখীন হয়। তাহলে ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারের শোকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হবে না কেন?
তিনি বলেন, ডাল-ভাত ও জোয়ানদের পদোন্নতি নয়, বিডিআর থেকে বিজিবি নাম গঠন পূর্বপরিকল্পিত। লক্ষ্য ছিল সেনাদের মেরুদÐ ভেঙে দেয়া। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইস্যু বানিয়েছে কথিত ডাল-ভাত। জোয়ানরা দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের হত্যা না করে সরকারের কাছে দাবি তুলতে পারতেন। সুতরাং ইস্যু ছিল সাজানো। দায়সারা তদন্ত কমিটি মূল ঘটনাকে খুঁজে পায়নি! অতএব, পিলখানা হত্যার বিচারও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
জাগপা সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মাস্টার এমএ মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বেলায়েত হোসেন মোড়ল, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ আলী খান, যুব জাগপা নেতা মাহিদুর রহমান বাবলা, রিয়াজ রহমান, জাগপা ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রুবেল, আব্দুর রহমান ফারুকী, যুবনেতা নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্রনেতা ফয়সাল আহমেদ অরণ্য, আমির হোসেন আমু প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ