পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হেপাটাইটিস ‘বি’ টিকাদান কর্মসূচি চলাকালীন বেনামী নকল ‘বি’ ভ্যাক্সিন আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল (মঙ্গলবার) ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ নকল ওষুধ আটক এবং জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন তিন পুলের মাথায় গোলাম রসুল মার্কেটে ‘আর্ত-চেতনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা’ নামক একটি এনজিও কর্তৃক হেপাটাইটিস ‘বি’ টিকাদান কর্মসূচি চলাকালেই উক্ত গুরুতর গোঁজামিল ধরা পড়ে। দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আরডিসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন কর্তৃক উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। হেপাটাইটিস ‘বি’ টিকাদান কর্মসূচি চলাকালীন সেখানে পরিচালিত অভিযানে ২৪ ভায়েল অনুমোদনহীন, নকল, বেনামী, মিসব্রান্ড হেপাটাইটিস ‘বি’ ভ্যাক্সিন (সানভ্যাক্স-বি) জব্দ করা হয়। আটককৃত ভ্যাক্সিনগুলোর উৎস সম্পর্কে আবদুল করিম নামে একজন পার্ট টাইম এনজিও কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে কোন তথ্য দিতে পারেননি।
কথিত টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে একজন মেডিকেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে তা পরিচালনা করার কথা থাকলেও অভিযানকালে কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযানকালে ভ্যাক্সিনগুলো যথাযথ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হচ্ছিল না। নদী নামের এক এনজিও কর্মীকে ইনজেকশন দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান তার এ ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নেই। অভিযানকালে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায় ইতোমধ্যে ৫০ জনকে এই ভ্যাক্সিন পুশ করা হয়েছে।
উপরোক্ত ‘বি’ ভ্যাক্সিন (সানভ্যাক্স-বি) এর বিষয়ে পার্টটাইম এনজিও কর্মী আবদুল করিম জানান যে, তারা কানাডা থেকে আমদানি করেছেন। আমদানি সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান এ ব্যাপারে কোন কাগজপত্র নেই। ওষুধ প্রশাসনের উপস্থিত কর্মকর্তা জানান, এই ভ্যাক্সিনের (‘বি’ ভ্যাক্সিন সানভ্যাক্স-বি) কোন অনুমোদন ওষুধ প্রশাসনের নেই। অভিযানকালে উপস্থিত সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও ডা. মোঃ নুরুল হায়দার জানান, এ ধরণের কোন ভ্যাক্সিনের নাম তারা কখনও শোনেননি।
এ সময় আবদুল করিম নামে পার্টটাইম এনজিও কর্মীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এনজিওর কর্মকর্তাদের কাছে তিনি নিজেও জানতে চেয়েছেন এ ওষুধের উৎস কোথায়। কিন্তু এনজিও কর্তৃপক্ষ তাকে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। অভিযানকালে এ বিষয়ে ‘আর্ত-চেতনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা’ নামক উক্ত এনজিওর কোন কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় সংশ্লিষ্ট এনজিওর খ-কালীন কর্মী আবদুল করিমকে অভিযুক্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন চট্টগ্রামের প্রতিনিধি ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, ডা. মোঃ নুরুল হায়দার, ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মাখনুওন তাবাসসুম এবং সহকারী পরিচালক মোঃ শেখ আহসান উল্লাহ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।