পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিশেষ সংবাদদাতা : আধুনিক কোচ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে ৩৬ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। নতুন অনুমোদন হওয়া এই ঋণের টাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে ৪০টি নতুন ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), ১২৫টি লাগেজ ভ্যান এবং মালবাহী ট্রেনের জন্য এক হাজার ওয়াগন। এই ঋণে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযু্ক্িতর ব্যবহার বাড়ানোরও উদ্যোগে নেওয়া হবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, মোট ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে।
এডিবির পরিবহন বিশেষজ্ঞ সুনেয়ুকি সাকায়ি গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, রেলওয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুলভে, নিরপাদে এবং তুলনামূলকভাবে কম জ্বালানি খরচে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টির ভালো সম্ভাবনা থাকলেও বিনিয়োগের অভাব আর জরাজীর্ণ বাহনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এডিবির রেলওয়ে রোলিং স্টক অপারেশনস ই¤প্রুভমেন্ট প্রোজেক্টের আওতায় নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং পরিবেশবান্ধব কর্মপদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মদক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে এক সময় একচেটিয়াভাবে রেলওয়ের প্রাধান্য থাকলেও অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ না হওয়ায় এবং বহু পুরনো বাহনের কারণে বাংলাদেশে রেলওয়ের ব্যবসা পড়ে যায়। রেলওয়ে যেসব কোচ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভ ব্যবহার করে সেবা দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই ৩০ বছরের পুরনো। যতদিন চলার কথা, তার চেয়ে বেশি দিন ধরে চলছে অধিকাংশ বাহন। এতে করে যাত্রা হচ্ছে অস্বস্তিকর, পণ্য পরিবহন হচ্ছে বিলম্বিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থারও উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন দেশের মোট পণ্য পরিবহনের ১৫ শতাংশে এবং যাত্রী পরিবহন ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ওই পরিকল্পনায়। এডিবির সহযোগিতায় সরকার রেলের উন্নয়নের যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তাতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে আয় বাড়িয়ে লোকসান কমিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। ২০০৬ সালে রেলওয়ে ই¤প্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট চালু করার পর এডিবি এ পর্যন্ত চার দফায় ২৮১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে। ওই অর্থ বাংলাদেশে রেলপথের উন্নয়ন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ তৈরির কাজে ব্যয় হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।