দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
প্রশ্ন : ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদা কী?
উত্তর: ভাষা আল্লাহর এক অনুপম নিদর্শন। বর্ন,শব্দ,বাক্যে,উচ্চারনে নানা বৈচিত্র বিদ্যমান। যা মুসলমানদের জন্য শিক্ষনীয়। ভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির শ্্েরষ্ঠত্ব ফুটে উঠে। কুরআনে বলা হয়েছে- এবং তার নির্দেশনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নির্দশন রয়েছে। ( সুরা রুম-২২)। অনত্র বলা হয়েছে- দয়াময় আল্লাহ,শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। সৃজন করেছেন মানুষ। শিক্ষা দিয়েছেন ভাষা। (সুরা রহমান, ১-৪)। আমাদের মহানবী (সা.) এর ভাষা ছিল সর্বাধিক সুফলিত। তিনি বলতেন, আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত। তোমাদের চাইতেও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুফলিত। তাই মাতৃভাষার চর্চা,বিশুদ্বভাবে বলা রাসূল (সা.) এর সুন্নত। ইসলামের প্্রসারে,দীনের দাওয়াতের অন্যতম মাধ্যম ভাষা। সুন্দর, শুব্দ ভাষায় মানুষকে বুঝানো সম্ভব। কোরআনে বলা হয়েছে- তুমি মানুষকে তোমার প্্রতিপালকের পথে বিজ্ঞানসন্মত ও উত্তম ভাষণ দ্বারা আহবান করো এবং তাদের সাথে সদ্ভাবে আলোচনা করো। (সুরা নাহল-১২৫)। স্বজাতির ভাষায় ভাষাভাষী করে আল্লাহপাক রাসূল পাঠিয়েছেন। এতেই বুঝা যায়, মাতৃভাষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ ইরশাদ করেন, আমি প্্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়ৈছি তাদের কাছে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য। (সুরা ইবরাহীম, আয়ত-৪)। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।