পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে আবারও একটা পাতানো নির্বাচন করা, যাতে তাদের একদলীয় শাসন দীর্ঘ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ২০ দল ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। কিন্তু এ ট্রাস্টের সব টাকাই তো ব্যাংকে আছে। তাহলে আত্মসাৎ হলো কীভাবে? খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়াই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল। তাই এ মামলায় তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের নামে এ ট্রাস্টের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুবের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল গণি, আব্দুল করিম আব্বাসী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমূখ।
অলি আহমদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে যেভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, তা অন্যায় হয়েছে। কারণ ১০ দিনের মধ্যে এত বিশাল রায় লেখা একজন বিচারকের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠাবে। আর সে জন্য রায় ঘোষণার আগে থেকেই কারাগার পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে।
অলি আহমদ বলেন, এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের সময় শুধু খালেদা জিয়া নয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। তারা ক্ষমতায় এসে নিজেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় বাতিল করেছে। কিন্তু অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো সচল রেখেছে। এলডিপি নেতা বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে কারাগারে আটকে রেখে আগামী নির্বাচন হবে না। আমরা আশা করব, সরকার দ্রæত খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করবে। না হলে এটিই তাদের পতনের কারণ হবে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মামলায় যদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও পড়তেন তাহলে তার জন্যও আমরা প্রতিবাদ করতাম। কার কী দোষ তা জনগণই বিচার করবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কে কোথায় আছে তারা কী কর্মসূচি দেবে একান্ত তাদের বিষয়। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করার কিছু নেই। জনসভা ও নির্বাচনে যখন যাবেন তখন কার কী দোষ আছে তা জনগণই বিচার করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।