দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর : তাসাউফ হলো দ্বীনি ইলমের বিশেষ একটি অধ্যায়। তাসাউফ চর্চা করার মাধ্যমে মোমিনের হৃদয় বা ক্বালব আলোকিত হয়। সূফী মাশায়েখগণ তাসাউফ চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। সূফী পীর দরবেশ মাশায়েখগণ যে স্থানে তাসাউফের পাঠদান করেন তাকে খানকা শরীফ বলা হয়। হযরত রাসূল (সা) এর পরবর্তীতে সময়ে সূফী পীর মাশায়েখগণ দেশে দেশে দ্বীনি ইলম শিক্ষা তথা ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কোরআন শিক্ষার বিশেষ দাওয়াত তথা তাসাউফ শিক্ষার মিশন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিজরত করেছেন। মানুষকে দ্বীনের পথে আহŸান করেছেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন কুলুষিত আত্মা গুলোকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে থেকে একটি দল থাকা উচিত যারা আহŸান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দিবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। (সূরা আলে ইমরান:১০৪)।
শিক্ষা মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে সজাগ করে দেয়। সাধারণ শিক্ষা কিংবা আকল দিয়ে কোরআনের সকল হুকুম আহকাম আদেশ উপদেশ গুলো বুঝা সম্ভব নয়। তাসাউফ সাধারণ শিক্ষাকে পরিপূর্ণতা দান করে। তাসাউফ মানুষের অন্তরে এক ধরনের নূরের প্রবাহ তৈরী করে। দ্বীনি শিক্ষার জ্ঞান মানুষের ঈমানকে মজবুত করে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে,‘ (হে নবী) আপনি বলুন, যারা জ্ঞানী এবং যারা জ্ঞানী নয় তারা কি সমান হতে পারে? জ্ঞানীরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সূরা যুমার:০৯)। হযরত রাসূল (সা) এর নিকট সর্ব প্রথম জ্ঞান অর্জনের জন্যে ওহী এসেছিলো। কোরআনে এরশাদ হয়েছে,‘পড় তোমরা প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত থেকে। সেই প্রভুর নামেই পড় যিনি অত্যন্ত সন্মানিত।যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে। যিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।’ (সূরা আলাক:১-৫)। ‘পরম করুণাময় তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন। তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা।’ (সূরা আর রহমান:১-৪)।
দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর আবশ্যকীয়। হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয। (বায়হাকী, মিশকাত, পৃ. নং৩৪)। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, রাতের কিছু সময় দ্বীনের ইলম আলোচনা করা পূর্ণ রাত জাগ্রত থেকে ইবাদত করা থেকে উত্তম। (মিশকাত, পৃ. নং ৩৪)। ইরান, ইরাক ও ইয়ামেনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বীনি ইলম শিক্ষার দাওয়াত নিয়ে সূফী মাশায়েখগণ বাংলাদেশে আগমণ করেছেন। তারা এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্যে মসজিদ মাদরাসা স্থাপনের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে খানকা শরীফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের সকল সূফী মাশায়েখদের খানকা গুলো সব সময়ই আল্লাহর জিকিরের মজলিস হয়। তাসাউফের তালিম দেয়া হয়। মোমিন মুসলমানেরা খানকা গুলোতে সব সময় জিকিররত থাকেন। তারা মোরাকাবা মোশাহেদার মাধ্যমে খানকায় দিন রাত্রী অতিবাহিত করেন।
উত্তর দিচ্ছেন : ফিরোজ আহমাদ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।