পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : সীতাকুন্ডের বারআউলিয়ায় লরি চাপায় কবির স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের দুই শ্রমিক হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদ করায় নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ওই ইয়ার্ডের কর্মীরা। এতে কমপক্ষে ৭ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় তাদের রোষানলে পড়ে আহত হন ৩ পুলিশ সদস্যও। খবর পেয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই ইয়ার্ডের ৭ কর্মকর্তাকে আটক করে হতাহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (সোমবার) সকাল আনুমানিক ৮টায় সীতাকু-ের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বারআউলিয়া গামারীতলে অবস্থিত কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কবির ষ্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের দুই শ্রমিক সুমন (২৮) ও দেলোয়ার (২৬) প্রতিদিনের মত ইয়ার্ডে যাচ্ছিল। তারা মহাসড়ক থেকে শিপইয়ার্ডের রাস্তা নামার পর হটাৎ-ই ঐ ইয়ার্ডের লোহার বার বহনকারী একটি লরি (নং ঢাকামেট্টো ট ৮১-০৩১৭) পেছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে এসে তাদেরকে চাপা দেয়। এতে লরি ও দেওয়ালের মাঝে পড়ে সুমনের দেহ থেথলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় দেলোয়ারও। হতাহত দুই শ্রমিক আপন ভাই। তারা সীতাকু-ের সোনাইছড়ি এলাকার সিরাজ মিয়ার পুত্র। এদিকে ঘটনার পর দীর্ঘ ২ ঘন্টাতেও হতাহত শ্রমিকদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না দেওয়ায় সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসী ও ইয়ার্ড শ্রমিকরা কবির ষ্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে গিয়ে এসব গাফিলতির কারণ জানতে চান এবং প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে কবির ষ্টিলের এক বাবুর্চি সেলিম ও আনসাররা ইয়ার্ডের নিরাপত্তার জন্য রক্ষিত শটগান থেকে গ্রামবাসীর উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে। এতে সাতজন এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধরা হলেন, নুরু নবী (৪৫), দেলোয়ার (২৫), ওসমান (২৫), মোহাম্মদ মুন্না (২০), শাহানাজ বেগম (২০), সাহাবউদ্দিন (১৮) ও সানি রাহাদ (১৬)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে গ্রামবাসী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ার্ডের রাস্তায় থাকা দুটি লরি ও নিরাপত্তা রক্ষীর ঘর ভাঙচুর করে এবং প্রতিকারের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম অবরোধ করে রাখে। বেলা আনুমানিক ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দীর্ঘ ২ ঘন্টার অবরোধে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় সীতাকু- থানা, বারআউলিয়া হাইওয়ো থানা, কুমিরা ফাঁড়ি ও ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও ক্ষুব্ধ জনতা এস.আই সাইফুল্লাসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এতেও শান্ত না হলে পুলিশ ইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে আটক করেছে। তারা হলেন, ইয়ার্ড ম্যানেজার আবদুল হাই, সিনিয়র এক্সকিউটিফ অফিসার সুমিত বড়–য়া, একাউন্টস অফিসার পুনাক দাশ, সিকিউরিটি ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন, আবদুল হাই, আবদুল আজিজ, আফছার উদ্দিন, অফিস কর্মচারি কায়ছার আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।