পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ভুল বোঝাবুঝির কারণে লিবিয়ার বেনগাজিতে চার বাংলাদেশী গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের চলাফেরায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। গতকাল (সোমবার) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। এদিকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উপশহর থেকে অপহৃত দুই বাংলাদেশী শ্রমিককে দেশটির পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে গতকাল তাদের স্বজনরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার বেনগাজি শহরের গোয়ারশা এলাকায় গুলিতে নিহত হন চার বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে দূতাবাস। তারা হলেন রাজবাড়ী জেলার মোসলেম ব্যাপারীর ছেলে আব্দুর রহিম, পঞ্চগড়ের মো: সামছুল হকের ছেলে হুমায়ুন কবির এবং যশোরের মোহাম্মদ হাসান।
এ ঘটনার তিন দিন পর লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়, তারা (নিহতরা) রাতের বেলায় গোয়ারশা এলাকা থেকে অন্য নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পথে একটি মিলিটারি ক্যাম্প অতিক্রম করার সময় মিলিটারি সদস্যরা তাদের (নিহতদের) সন্দেহ করে থামতে বলেন। ওই সময় তারা না থেমে ও পরিচয় না দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমন পরিস্থিতিতে মিলিটারি সদস্যরা প্রতিপক্ষের সহযোগী মনে করে গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এ ঘটনার পর রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় কোনো চেকপয়েন্টে বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোথাও থামতে বললে নিজের পরিচয়, পাসপোর্ট, মেডিকেল ফিটনেস কার্ড ও নিয়োগকর্তার দেয়া পরিচয়পত্র (বিতাকা) প্রদর্শনের কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই ভয় পেয়ে পালানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দূতাবাসের ফেসবুক পেজে আরো বলা হয়, নিজ নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে এবং যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে লিবিয়ায় অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশীকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা সীমিত করে এবং রাতে বাইরে বের না হয়ে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্কভাবে চলাফেরার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এছাড়া, বেনগাজিসহ যুদ্ধরত অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করা প্রবাসীদের দূতাবাসের হটলাইন নম্বর +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭-এ যোগাযোগ করে নিজের অবস্থান এবং প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ করেছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদিকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উপশহর মিশরাতা থেকে অপহৃত দুই বাংলাদেশী শ্রমিককে উদ্ধার করেছে সেদেশের পুলিশ। গতকাল (সোমবার) দুপুরে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে অপহৃতদের স্বজনরা জানান।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার দিকে মিশরাতা উপশহরের একটি বাজার এলাকা থেকে এ দু’জনকে ধরে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। তারা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার গড়গাঁও গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রাসেল (২৪) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার রিপন (২২)। তাদের স্বজনদের সাথে টেলিফোনে তারা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে আইএস জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল বলে ধারণা করা হলেও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তাদের অপহরণ করেছিল। অপহরণের পর তিন দিন তাদের দুইজনসহ ভারতীয় ও শ্রীলংকার আরো সাতজনকে মিশরাতা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। অপহরণের বিষয়টি তাদের রুমমেট শাহীন, তবারুলসহ আল-মদিনা লিমিটেডের মালিকপক্ষ স্থানীয় পুলিশকে জানায়। রিপন জানান, অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার লিবীয় দিনার মুক্তিপণ দাবি করেছিল। গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের দু’জনসহ ভারতীয় ও শ্রীলংকার সাতজনকে উদ্ধার করে মিশরাতার ক্যারাং থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযানের সময় তাদের সঙ্গে থাকা পাঁচ সন্ত্রাসী তাদেরকে একটি ঘরে আটকে রেখে তালা মেরে পালিয়ে যায়। পুলিশ তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।