পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : মোটরসাইকেলের নিবন্ধনের ফিয়ে এবার যুক্ত হলো কিস্তি সুবিধা। নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি আগের মতো থাকলেও কিছুটা কমেছে সড়ক কর। দুই ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলে যথাক্রমে ১ হাজার ১৫০ টাকা ও ২ হাজার ৩০০ টাকা করে কমছে সড়ক কর। সেই সাথে এখন থেকে এককালীন এর পরিবর্তে চার কিস্তিতে পারিশোধ করা যাবে এই কর। গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৯০ কেজি ওজনের ১০০ সিসির মোটর সাইকেলের নিবন্ধনে ‘নিবন্ধন ও অন্যান্য’ ফি আগের ৮ হাজার ১৬৩ টাকাই থাকছে। তবে এই ক্যাটাগরির মোটর সাইকেলের জন্য সড়ক কর আগের তুনলায় কিছুটা কমছে। আগে এই ধরনের মোটর সাইকেলের জন্য সড়ক কর দিতে হতো এককালীন ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এখন থেকে প্রতি কিস্তিতে ১ হাজার ১৫০ টাকা করে ৮ বছরে ৪ কিস্তিতে মোট দিতে হবে ৪ হাজার ৬০০ টাকা। সে হিসেবে নিবন্ধনের মোট খরচ কমেছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। অপর দিকে ১০০ সিসির বেশি এবং জ্বালানি বিহীন ৯০ কেজির বেশি ওজনের মোটর সাইকেলের ‘নিবন্ধন ও অন্যান্য’ ফি আগের মতোই ৯ হাজার ৭৭৩ টাকা থাকছে।
তবে সড়ক কর কমছে মোট ২ হাজার ৩০০ টাকা। এই ধরনের মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রেও চার কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে সড়ক কর। সে ক্ষেত্রে প্রতি কিস্তিতে ২ হাজার ৩০০ টাকা করে মোট ৯ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রজ্ঞাপনে উলেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে। এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বাজারে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী, বিপণনকারী ও ব্যবহারকারীরা।
এ বিষয়ে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এই ফি কমানোর জন্য সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু সেটি না করে গ্রাহকদের জন্য কিস্তির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটা মন্দের ভালো। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরবর্তীতে নিবন্ধনের এই ব্যয় কমিয়ে আনা হবে।
তিনি মনে করেন, মোটরসাইকেল নিবন্ধনের ফি এর ক্ষেত্রে এই কিস্তি সুবিধা তরুণদের মোটরসাইকেল কিনতে ও নিবন্ধন করতে উৎসাহিত করবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের মোটরসাইকের শিল্পের জন্য ইতিবাচক হবে বলেও মনে করেন তিনি। দেশের বাজারে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জামান মটরসের স্বত্বাধিকারী মীর শাহীন হোসেন বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে মোটরসাইকেল বিক্রি আগের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেকেরই স্বপ্ন থাকে একটা মোটরসাইকেল কেনার । কিন্ত শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন জটিলতার কথা চিন্তা করে পিছিয়ে যায়। বিদ্যামান এককালীন ফিও অনেকের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যায়। ফলে তারা আর নিবন্ধন করে না। ফলে সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। আর নিবন্ধন না করার কারণে অনেক হয়রানির মধ্যেও পড়তে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।