পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার পর পরই গতকাল তাঁকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ এ মামলার অন্য ৫ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬শ ৭১ টাকা জরিমানা করা হয়। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোঃ আখতারুজ্জামান দুপুরে ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সংক্ষিপ্তসার ঘোষণা করে জানান, খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণিত। সামাজিক অবস্থান বয়স বিবেচনায় নিয়ে বেগম জিয়াকে ৫ বছর দন্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ মজুমদার ‘বিচারকের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে রায় সাংঘর্ষিক’ দাবী করে বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো যোগসুত্র পাওয়া যায়নি। অথচ তাকে ৫ বছর কারাদন্ড দেয়া হলো কেন?
বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে বিএনপির নেতারা ‘রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসামূলক’ হিসেবে অবিহিত করে রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রতিবাদে বিএনপি থেকে বেগম জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী ২ দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ আওয়ামী লীগ নেতারা ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়’ এবং ঘোষিত রায় ‘যথার্থ’ অবিহিত করেছেন। অন্যদিকে বেগম জিয়াসহ আসামী পক্ষ্যের আইনজীবীরা ‘রায় পক্ষপাতমূলক’ অবিহিত করে সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। এই রায়কে ঘিরে গতকাল সারাদেশে দিনভর ছিল উত্তেজনা; পুরান ঢাকায় যেন যুদ্ধংদেহী অবস্থা। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অধিকাংশ জেলা শহরের যোগাযোগ কার্যত বন্ধই ছিল। আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ‘এমন ঘোষণার’ পর শাসকদলের নেতাকর্মীরা ভোরেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান গ্রহণ করে। এতে রাজধানীতে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকেন। যারা বের হয়েছেন তাদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। চরম বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য তাদের বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে।
এই প্রথম দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে নি¤œ আদালতের মামলার রায়ে কারাগারে যেতে হলো। বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠের বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণার সময় বেগম খালেজা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১টায় ৫২ মিনিটে আদালতে প্রবেশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। এজলাসের বাম পাশে সামনের দিকে তাকে বসতে দেয়া হয়। অফ-হোয়াইট কালারের শাড়ি পরিহিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে এ সময় দৃঢ়চেতা ও সুস্থির দেখাচ্ছিল। এজলাসের ডানপাশে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। বিচারকের মুখোমুখি সামনের সাড়িতে বসা ছিলেন আসামী পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বাইরে ছিল পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। পুলিশের বাধার মুখে আদালতে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও সংবাদকর্মী রায় শোনার জন্য প্রহর গোনেন। মূলত দুদকের সব আইনজীবীদের প্রবেশ করতে দেয়া হলেও আসামী পক্ষ্যের অনেক প্যানেল আইনজীবীকে আদালতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ২টা ১০ মিনিটের দিকে বিচারক মোঃ আকতারুজ্জামান এজলাসে ওঠেন। পিন-পতন নিরবতার মধ্যে তিনি রায় ঘোষণা করেন। বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়া প্রবেশ করার পূর্বেই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ও সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করেন। বেগম জিয়া দলের নেতাদের অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেই দলের নেতাদের শান্তনা দেন।
আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পর বেগম জিয়া পায়ে হেঁটেই বিশেষ সেলে পৌঁছেন। এ সময় তিনি আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দেন; দলের নেতাদের আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসসুচির নির্দেশনা দেন বলে আইনজীবী মোঃ সানাউল্লাহ জানান। এর আগে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানার সময় তিনি বড় বোন, ছোট ভাই, ভাগিনা, আরাফাত রহমান কোকোর শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিদায় নেন। এ সময় স্বজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন; সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশের। ধীরস্থির ভাবে তিনি সকলকে শান্তনা দিয়ে বলেন, ‘আমি অন্যায় করিনি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মামলা। চিন্তা করো না, শক্ত হও। কাঁদতে হবে না। আমি ঠিকই থাকব। তোমরা সবাই অপেক্ষা করো, আমি ফিরে আসবো’।
মানুষের উদ্বেগ উৎকন্ঠা, আইন শৃংখলা বাহিনীর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা, মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের শো ডাউনের মধ্যেই গুলশান থেকে বের হয়ে আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। এসময় সব বাঁধা ভেদ করে হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসেন। নেতাকর্মীদের নিয়েই তিনি আদালতের পথে অগ্রসর হন। তার সঙ্গে আদালতে বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রায় শোনার পর আদালতে উপস্থিত দুই পক্ষ্যের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ্যের আইনজীবীরা এই রায়কে স্বাগত জানালেও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই রায় রাজনৈতিক। বিচারকের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে রায় সাংঘর্ষিক। বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নীল নকশা থেকেই আদালতের মাধ্যমে এই রায় দেয়া হলো। রায়ের নেপথ্যে রয়েছে সরকার। জনগণ এই রায় মানবে না। রায় আগেই আদালতের বাইরে লিখে রাখা হয়েছিল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন সবার জন্য সমান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানান।
ফখরুদ্দিনর-মঈনুদ্দিন সরকারের শাসনামল তথা ২০০৮ সালে ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের দায়ের করা এই মামলা ওই বছরই ৪ জুলাই আদালত গ্রহণ করে। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। কিন্তু অভিযুক্তদের আইনজীবীরা স্পষ্ট ভাবে আদালতকে অবিহিত করেন যে টাকা আত্মসাদে অভিযোগ করা হয়েছে তা সর্বই মিথ্যা। বরং সেই টাকা ব্যাংকে রাখায় এখন সুদসহ তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন গ্রেফতারকৃত দুই আসামী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের মধ্যে লন্ডনে চিকিৎসারত রয়েছেন তারেক রহমান। আর আইনের ভাষায় ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান রয়েছেন পলাতক।
যে দুই ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারকাজ পরিচালনা হয়েছে সেগুলো হলো- দন্ডবিধির ৪০৯ ও দুদক আইনের ৫(২) ধারা। দন্ডবিধির ৪০৯ এ বলা হয়েছে ‘যে ব্যক্তি তাহার সরকারি কর্মচারিজনিত ক্ষমতার বা একজন ব্যাংকার, বণিক, আড়তদার, দালাল, অ্যাটর্নি বা প্রতিভূ হিসাবে তাহার ব্যবসায় বা দেশে যে কোনও প্রকারে কোনও সম্পত্তি বা কোনও সম্পত্তির ওপর আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হইয়া সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা দশ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবে।’ দুদক আইনের ৫ (২) ধারা অনুযায়ী, ‘কোন সরকারি কর্মচারী অপরাধমূলক অসদাচরণ করিলে বা করার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে তিনি সাত বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের যোগ্য হইবেন।’
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এক/এগারোর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মাইন্যাস টু ফর্মূলার আবির্ভাব ঘটানো হয়। ওই সময় বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় সব মামলাই তুলে নেয়া নেয়; কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো রয়ে যায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিতর্কিত নির্বাচনে ইস্যুতে ব্যাপক আন্দোলনের মুখেও ভোটের পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। অতপর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলাসহ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা ও মানহানির অভিযোগে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে তিনটিতে, একটি মামলার যুক্তি উপস্থাপন, সাক্ষীর জন্য একটি এবং ১৪টির অভিযোগ গঠন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর বাকি ১৬টি মামলা তদন্তধীন অবস্থায় রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একই বছরের ৭ মে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এ মামলা বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। রায় ঘোষণার আগে ২৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তি-তর্ক শুনানি গ্রহণ করা হয়। একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার শুনানি চলছে।
রায় ঘোষণার পর ‘সবার জন্য আইন সমান’ মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকতে হবে। সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর তিনি হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন, সেখানে জামিন আবেদনও করতে পারবেন। তবে বিএনপির আইনজীবীরা রায়কে রাজনৈতিক হিসেবে অবিহিত করেছেন। বেগম জিয়ার ৫ বছর কারাদন্ডকে ‘ন্যায়বিচার পরিপন্থী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত’ অবিহিত করে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত দেওয়া হয়েছে। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালত যাব। মামলার রায়ের অনুলিপি আদালতের কাছে চাওয়া হয়েছে। আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ সময় আইনজীবী অভিযোগ করেন রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।