পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
টায়ার উৎপাদনে যাচ্ছে যমুনা গ্রুপ। বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহনের টায়ার উৎপাদনে এরই মধ্যে যমুনা টায়ারস অ্যান্ড রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে এ গ্রুপ। এ কারখানায় বছরে ৩৫ লাখ পিস টায়ার উৎপাদনে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে এক সংবাদ সম্মেলনে টায়ার কারখানা নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এ সময় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, কেম চায়নার কর্মকর্তা ও চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জের মাধবপুরের বেজুরায় ২০০ বিঘা জমিতে যমুনা শিল্প পার্কে এ টায়ার কারখানা করা হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব এ প্রকল্পে পানি সরবরাহের স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা ও দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এ শিল্প পার্ক সম্পূর্ণ চালু হলে দুই হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। চীনের শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কেম চায়না এ কারখানা স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে সরকার। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ জন্য আমদানি পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক সুবিধা আরো বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে কাগজের ম- আমদানি শুল্কমুক্ত। অনেক কাঁচামাল আমদানিতে এ সুবিধা আছে। টায়ার শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য নানাভাবে সুবিধা দেয়া হবে।
তোফায়েল বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে শীর্ষ দেশ এখন চীন। যমুনা গ্রুপ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে টায়ার উৎপাদনে যাচ্ছে। এ শিল্প দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়া হচ্ছে।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, চীন, জাপান ও ভারতের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মানসম্মত যমুনা ব্র্যান্ডের টায়ার উৎপাদন করা হবে। এ টায়ার তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে দেশে ২০ লাখ পিস টায়ারের চাহিদা রয়েছে। এ কারখানায় ৩৫ লাখ পিস উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যমুনা টায়ার রফতানি করা হবে। এ জন্য এরই মধ্যে বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।