Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেডরুম থেকে সেনানিবাস কোথাও নিরাপদ নয় -ড. মোশাররফ

ইয়াসমিনের সময় রাস্তায় নেমেছেন শেখ হাসিনা এখন নীরব কেন?

প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, মানুষ আজ বেডরুম থেকে শুরু করে সীমান্তে এমনকি দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত জায়গা ক্যান্টনমেন্টের মতো এলাকায়ও নিরাপদ নয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইয়াসমিন হত্যাকা-ের সময় আপনি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু এখন নীরব কেন?
আরেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকারের গু-ারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীরব থেকে অপরাধকারীদের উৎসাহিত করছেন। গতকাল রোববার পৃথক মানববন্ধনে বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই দুই সদস্য এ অভিযোগ করেন।
কুমিল্লার কলেজ-ছাত্রী সোহাগী জাহান, তনু হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করে ‘অনলাইন এক্টিভিস্ট কাউন্সিল অব বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাগর-রুনিকে বেডরুমে হত্যা করা হয়েছিল। ফেলানীকে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন আবার তনুকে ক্যান্টনমেন্টে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকা-ের সঠিক বিচার হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইয়াসমিন হত্যাকা-ের সময় আপনি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু এখন নীরব কেন? দেশে আইনের শাসন না থাকার কারণে এমন হত্যাকা- হচ্ছে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
হান্নান শাহ বলেন, তনু হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। নিজের বিবেকের কাছেই আমি বিব্রত বোধ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই অবৈধ সরকার ধর্ষণ, হত্যার মতো ঘটনাকে কিছুই মনে করছে না। এই হত্যাকা- নিয়ে শেখ হাসিনার নীরবতাই তা প্রমাণ করে যারা হত্যা গুম, খুন, ধর্ষণ করছে তাদের তিনি উৎসাহিত করছেন।
তিনি বলেন, সরকারের আস্কারার কারণেই ক্যান্টনমেন্টের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তনুতেই শেষ নয়, আরও ধর্ষণ-হত্যা হবে। সরকারের গু-ারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাদের অনুসারীরা কোনো অপরাধ করলে সরকার নীরব, কিন্তু বিএনপি হলে সরকার সরব।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, হত্যাকা-ের এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও মিডিয়া এখনো তেমন কিছু বলতে চাচ্ছে না।
প্রজ্ঞাপন জারি করে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তনু হত্যার আসল রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেডরুম থেকে সেনানিবাস কোথাও নিরাপদ নয় -ড. মোশাররফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ