Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি - অর্থ উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা বাড়ছেই

সন্দেহভাজনরা এখনো নজরদারিতে

প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাসান সোহেল : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার হবে কি না তা নিয়ে প্রতিদিনই শঙ্কা বাড়ছে। চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব না হলে জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে তা বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও কোন আশ্বাস মিলছে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ ফেরত পেতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত তা উদ্ঘাটনে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০/১২ জন সন্দেহভাজনকে এখনো গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ওই দেশের এন্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিলরের প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছেন নবনিযুক্ত গভর্নর ফজলে কবির।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরিতে মূল অভিযুক্ত চীনা বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী কিম অং আগামীকাল এ ঘটনা তদন্তে ফিলিপিন্সে গঠিত সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। ওই ব্যবসায়ী ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, শুনানিতে তিনি হাজির হবেন এবং এ ঘটনা সম্পর্কে যতটুকু জানেন তার কোনো কিছুই লুকাবেন না।
অপরদিকে রিজার্ভের এই অর্থ চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজনদের এখনো নজরদারিতে রেখেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের ভেতর বা বাইরে তারা কী করছেন, তা নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সন্দেহভাজনরা ব্যাংকের ডিলিং রুম ও আইটি শাখায় কর্মরত বলে জানিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিউইয়র্ক থেকে রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়ে জানানো হলেও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্যাংকেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তদন্তের শুরুর দিন থেকেই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। কাউকে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন এসব কর্মকর্তাদের কম্পিউটার থেকে পাওয়া যেসব তথ্যে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু তারা তেমন কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। এসব কর্মকর্তা প্রতিদিন কখন অফিসে আসছেন, অফিসে কোন ধরনের কাজ করছেন, কার সঙ্গে কী কথা বলেছেন, মোবাইল বা টেলিফোনে কী ধরনের আলাপ করছেন, সেসব অতি গোপনে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। অফিস শেষে বাসায় যাচ্ছেন নাকি অন্য কোনো কাজ করছেন, কোথায় যাচ্ছেন তাও গোপনে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের মোবাইলের কললিস্টও দেখা হচ্ছে।
এদিকে সন্দেহভাজনরা দেশের বাইরে না যান, গেলেও যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যান, সে ব্যাপারেও তাদের বলা হয়েছে। এ রকম ১০/১২ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে কয়েক জন যেন কোনোভাবেই দেশের বাইরে না যান, সেজন্য কঠোরভাবে বলা হয়েছে। এদের ব্যাপারে ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে তারা কারা, এ ব্যাপারে এখন পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়ায় নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। অবশ্য তাদের কম্পিউটার থেকে যেসব তথ্য নেওয়া হয়েছে, তা সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে তারা কোন ধরনের অপরাধ করেছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, দেশে বা ব্যাংকের ভেতরে তদন্তের জন্য যা কিছু দরকার তার সবকিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে নেপথ্যে কী ঘটেছিল তা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিদেশীদের সংশ্লিষ্টতা আছে। এ কারণে মামলার তদন্তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই মিডিয়া ডেকে সব কিছু বলা হবে।
ঘটনার শুরু থেকে তদন্ত করছে সিআইডির এমন একটি সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে ব্যাংক থেকে সবকিছু পাওয়া গেলেও তদন্তে ব্যাঘাত ঘটছে। কেননা এ ঘটনায় আরো তিনটি দেশের অপরাধী জড়িত। অপরাধীদের কাছ থেকে এবং ব্যাংক থেকে তথ্য পেতে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও ওসব দেশ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে মন্ত্রণালয় বা সরকারের পক্ষ থেকেও ওসব দেশে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আরো তথ্য না আসলে যেমন তদন্ত পুরোপুরি শেষ করা যাবে না, তেমনি তদন্তের পূর্ণতাও আসবে না। এখন ওসব দেশ থেকে তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তদন্তকারীরা। আবার ওসব দেশে কিছু আইনি বাধ্যবাধকতাও আছে। এ কারণে ব্যাংক বা ওই দেশগুলো তথ্য দিতেও গড়িমসি করছে। যদিও অনেকের মতে, তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসলেও প্রকাশ করা হবে কিনা না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ব্যাংকের সিস্টেমের মধ্যে একটা ম্যালওয়্যার ঢুকেছিল। কীভাবে ঢুকেছিল, কোত্থেকে ঢুকেছে, কেমন করে ঢুকেছে- এর জন্য আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করছেন। এখানে যে সুইফট সিস্টেমের কথা বলা হচ্ছে, সেটা অত্যন্ত নিরাপদ একটা ব্যবস্থা। এখানে ম্যালওয়্যার কীভাবে ঢুকল, সেটা দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ভেতরের কেউ জড়িত ছিলেন এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার চুরি হয় গত ৪ ফেব্রুয়ারি। শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি চেপে রেখে গোপনে তদন্ত ও অর্থ উদ্ধারের তৎপরতা চালায়। তবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানির পর এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রায় ২ মাস পার হতে চললেও কীভাবে অর্থ চুরি হয়েছে, এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে কোনো কূলকিনারা করা যায়নি। তবে চুরি যাওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করেই হয়েছে এ বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন রিজার্ভের টাকা কোথায় এবং কার কাছে গেছে সেই তথ্য খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ফিলিপিন্স, হংকং ও শ্রীলঙ্কার যেসব প্রতিষ্ঠানে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে টাকা গেছে সেই সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাতে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তবে এ পর্যন্ত তদন্ত সংশ্লিষ্টরা যে তথ্য পেয়েছেন তাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের চারটি দেশের অপরাধী চক্র জড়িত বলে নিশ্চিত হয়েছেন। গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা। তথ্য বিনিময় করেছেন সরকারের তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গেও। দুপুর ১২ টার দিকে সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়। এদিকে গতকাল সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, নির্বাহী পরিচালক, ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবনিযুক্ত গভর্নর ফজলে কবির। বৈঠকে আইটি নিরাপত্তা জোরদার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা সাংবাদিকদের জানান, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যোগদানের পরই অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট চার সংস্থার কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন। এর মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে দেশের পক্ষে রোল প্লে করার জন্য পত্র দেয়া হয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ওই দেশের এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের প্রধানকেও সহযোগিতা চেয়ে গভর্নর পত্র দিয়েছেন। এছাড়া নিয়মিত তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগসহ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
চিঠিগুলো কখন এবং চিঠিতে কী বলা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। অর্থ আদায়ের জন্য যেভাবে চিঠি দেয়া দরকার, একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য যেভাবে বলা দরকার সেভাবেই চিঠি দেয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে শুভঙ্কর জানান, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে অভ্যন্তরীণ ও সরকারের গঠিত কমিটির তদন্ত অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক নিউইয়র্কে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান ক্যারেলিন বি লেলোনি ইতোমধ্যে কী প্রক্রিয়ায় এবং কোন পদ্ধতিতে এরকম একটি ঘটনা ঘটল তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এর বাইরে প্রয়োজনীয় নথি পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আইনানুগ বিষয়গুলোকে এসেস করবেন।
এর আগে অর্থ চুরির ঘটনার তদন্ত ও অর্থ উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (এফআইইউ) থেকে এগমন্ট গ্রুপের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া ডলার ফিরিয়ে আনতে তাদের আইনি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এগমন্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এন্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল (এএমসি) কাছে চিঠি দিয়ে বলেছে, এ ঘটনাটি বিশদভাবে তদন্ত করে তাদের জানাতে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতেও চুরি হওয়া ডলার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহযেগিতা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, অর্থ চুরির ঘটনার পর ফিলিপাইনের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (এফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন এফআইইউকে এ ঘটনা নিয়ে তাদের দেশের অগ্রগতি জানাচ্ছে। তবে অর্থ উদ্ধার কিংবা উদ্ধার না হলে জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তা ফেরত দেওয়া হবে কি-না তা নিয়ে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। আদালতের রায়ের ওপর সবকিছুই নির্ভর করবে।
আইটি নিরাপত্তা নিñিদ্র করছে বাংলাদেশ ব্যাংক : অর্থ চুরির ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা নিñিদ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গতকাল নবনিযুক্ত গভর্নর ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল মহাব্যবস্থাপক ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সৌজন্য বৈঠক, এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে কাজ করতে এবং আইটি নিরাপত্তা আরও জোরদারের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ম্যানুয়াল নিয়মনীতি রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। ফজলে কবির বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সব কর্মকর্তাকে কাজ করতে হবে। সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যেন নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে শুভঙ্কর সাহা বলেন, বৈঠকটি ছিল মূলত সৌজন্যমূলক। তথাপি অর্থ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভর্নর বৈঠকে আইটি নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি - অর্থ উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা বাড়ছেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ