পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফাঁস হওয়ার প্রশ্নেই নেয়া হলো এসএসসি’র বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। বাংলা প্রথম পত্রের পর দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়। এই প্রশ্ন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই চলমান এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বরাবরের মতো এবাও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্নফাঁসের কোন খবর তাদের কাছে নেই এমন মন্তব্য করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের খবর আমি বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় শুনেছি। কিন্তু প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোন খবর আমার কাছে নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা বাতিলের কোন কারণ তিনি দেখছেন না। বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন আর বোর্ড বা বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে না। ৯ টার পর ফাঁস হওয়ার মানে পরীক্ষা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সেটি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়ার ঘটনায় কর্মকর্তারা আতঙ্কে। তারা বলছেন, এটি বোর্ডের পক্ষে রোধ করা সম্ভব না। এ জন্য বিটিআরসি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্বত:স্ফূর্ততা দেখাতে হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডগুলো বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে গতকালের প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি বিটিআরসি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে মেইল করে জানানো হয়েছে বলে স্বীকার করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, যেসব ফেসবুক পেইজ থেকে প্রশ্নফাঁসের খবরটি ভাইরাল হয়েছে তা মেইল করে দুটি সংস্থাকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাঠানোর সঙ্গে দশ হাজার শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারী যুক্ত। একেক কেন্দ্রে একেকভাবে প্রশ্নপত্র যায়। এরমধ্যে রয়েছে স্পিড বোর্ড, রিকশাও। এছাড়া কোনও কোনও কেন্দ্রে পায়ে হেঁটেও প্রশ্ন পৌঁছে দেয়া হয়। থানা বা ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর আগে তিন জন সরাসরি এর দায়িত্বে থাকেন। এখন কাকে সন্দেহ করবো? ১০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ৯ হাজার ৯৯৯ জনও যদি সৎ হন, আর মাত্র একজন যদি অসৎ হন, তাহলেই সেই একজন অসৎই লাখ লাখ মানুষের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি?
এর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বৈঠকে সচিব সোহরার হোসাইন বলেছিলেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আসা মাত্রই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। কিন্তু সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ধরণের কোন পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি।
সূত্র মতে, গতকাল শনিবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরুর পৌনে এক ঘণ্টা আগে প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফাঁস হওয়া সেই প্রশ্ন মিলে যাওয়ার পর কর্মকর্তারা বরাবরের মতই বললেন, বিষয়টি তারা দেখবেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই ১০০ ভাগ মেলার নিশ্চয়তা দিয়ে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁস করার বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছিল নানান ফেইসবুক গ্রুপে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সোয়া ৯টার মধ্যেই উত্তর সহ ‘খ’ সেট বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এসব গ্রুপে ফাঁস করা হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এছাড়া ফেইসবুক মেসেঞ্জারে সকাল ৯ টা ১৬ মিনিটে ‘হিমুর ছায়া’ নামের একটি আইডি থেকেও উত্তর সহ ‘খ’ সেটের প্রশ্ন ইমেজ আকারে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, বহু নির্বাচনী প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে গেছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, আমরা এখনো কোনো তথ্য প্রমাণ পাইনি। গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এসএসসিতে এবার অভিন্ন প্রশ্নপত্রে হচ্ছে সব বোর্ডের পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁস নিয়ে সরকার আন্তরিক এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছিলেন, আমরা খুবই ডেসপারেট, খুবই অ্যাগ্রেসিভ এ (প্রশ্ন ফাঁস) বিষয়ে। যদি কোথাও কেউ কোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করে, তিনি কোনোভাবেই রেহাই পাবেন না। কী হবে, আমিও সেটা ধারণা করতে পারি না। চরম একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।