পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : গত শুক্রবার রাতে শেষ হয়েছে জামিয়া ইসলামীয়া দারুল উলূম সাহেপ্রতাপ মাদরাসার ২ দিনব্যাপী ইসলামী মহা-সম্মেলন। দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী। মাহফিলে বক্তৃতা করেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক, হাফেজ মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী ও মাওলানা সুলতান উদ্দিন নূরী। বিশাল জনসমাবেশে বক্তৃতাকালে মাও. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক বলেন, জঙ্গীবাদ যেমন ইসলামের দুশমন, তেমনি যারা ক্বওমী মাদরাসাকে জঙ্গী তৈরী কারখানা বলে তারাও ইসলামের দুশমন। প্রকৃত মুসলমান কখনো জঙ্গী হতে পারে না। আর একজন প্রকৃত মুসলমান কখনো ক্বাওমী মাদরাসাকে জঙ্গী কারাখানা বলতে পারে না। ক্বওমী মাদরাসা হচ্ছে সৎ, নিষ্ঠাবান, ধর্মপরায়ন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। এখানে মানুষকে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়। আল্লাহ ভীতি ও রাসূল (সা:)’র আদর্শ শিক্ষা দেয়া হয়। তিনি বলেন, জঙ্গী বানাতে অর্থ লাগে, আধুনিক অস্ত্র লাগে, প্রযুক্তি লাগে, গোপন আস্তানা লাগে, ক্বওমী মাদরাসায় এসবের কিছুই নেই, থাকে না। দেশের ক্বওমী মাদরাসাগুলো দেশ ও দশের সাহায্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। প্রতিটি মাদরাসাকেই আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। অধিকাংশ মাদরাসারই বেড়া থাকে ভাঙ্গা। এখানে গোপনীয়তার কিছুই নেই। যখন তখন যে কোন মানুষ ক্বওমী মাদরাসায় প্রবেশ করতে পারে। অতএব, যারা ক্বওমী মাদরাসাকে জঙ্গী কারখানা বলেন তারা এক ধরনের প্রতিহিংসা থেকে এসব কথা বলেন। ভেবে দেখুন ক্বওমী মাদরাসাগুলো ভালো মানুষ তৈরী না করলে দেশে ভালো মানুষের আরো বেশী সংকট সৃষ্টি হতো। মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোবাইলের যথেচ্ছ ব্যবহার করে পাপাচারে লিপ্ত হবেন না। মোবাইলের নেশায় দিন-রাত মত্ত থাকলে জীবনের গুরত্বপূর্ণ সময়গুলো অবহেলায় কেটে যাবে। জীবন স্থবির হয়ে পড়বে। পরে দৌড়েও জীবনের নাগাল পাবেন না। প্রথম দিন বক্তৃতা করেন, শায়খূল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শোয়াইব আহমদ আশরাফী, মুফতি রাফি বিন মনির, মাওলানা হারুনর রশিদ কাসেমী। প্রথম ও দ্বিতীয় সভাপতিত্ব করেন, যথাক্রমে আলহাজ¦ ইয়াজ উদ্দিন মৃধা ও আলহাজ¦ মো: ফারুক সরকার। উদ্বোধন করেন, যথাক্রমে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মো: শাহ নেওয়াজ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাকির। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, মাদরাসার সভাপতি আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।