Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরবর্তী যুক্তিতর্ক ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি

জিয়া চ্যারিটেবল মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রসিকিউশন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি-আইনজীবী
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ দিন ঠিক করেন। এর আগে তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলামের পক্ষে যুক্তিতর্ক করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫-এ এই মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।
গতকাল বেলা বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির হয়েছেন খালেদা জিয়া ।তিনি পৌঁছার পর ১১টা ৩০ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৩ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মতিন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাতজন মিলে এটি গঠন করেন। ট্রাস্টের নামে সোনালী ব্যাংক ফকিরাপুল শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নেতা-কর্মীরা অনুদান দিতেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় একটি একাউন্ট খোলা হয়। এরপর ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ফকিরাপুলের পূর্বের হিসাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় টাকা আসে। এখানে কোথায় অপরাধ? তিনি আরো বলেন, দুদক আইন অনুযায়ী দুদকের কোনো কর্মকর্তাকে কোনো মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিতে হলে তা গেজেট প্রকাশ করতে হবে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটা করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা তা আদালতে জেরায় স্বীকারও করেছেন।
বিজ্ঞ আদালত হয়ত বলবেন আপনারা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়ে সফল হননি। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গিয়ে সফল না হলেও মামলায় তাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি এই কারণে মামলা কোয়াশড হয়েছে। আমরা আদালতকে বিষয়টি শুধু জানালাম। এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তিনি বলেন, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সরকার এই ট্রাস্টে দুর্নীতির গন্ধ না পেলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই দুর্নীতির গন্ধ পেলেন। অভিযোগপত্রে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করলেন। কিন্তু টাকাটা কোথা থেকে এল, তারা তার উৎস খুঁজে পেলেন না। উৎস যদি না দেখাতে পারেন, তবে অপরাধ কীভাবে হবে? হাওয়ার উপর মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিল করে দিলেন। আবার আমরা যখন ডকুমেন্ট দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি যে, এগুলো পার্টি ফান্ডের টাকা, তাও গ্রহণ করবেন না।
তিনি বলেন, আদালত ক্রিমিনাল মামলায় আসামির কোনো দায় নেই। সবকিছু প্রমাণ করতে হবে প্রসিকিউশনকে। এখানে অনুমানের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। আদালতে প্রসিকিউশন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আশা করি আসামিরা খালাস পাবেন। বেলা দেড়টার দিকে আমিন মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আদালতের কার্যক্রমে বিরতিতে যান। ওই সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে তাই আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো থাক। এরপর বিচারক বলেন, আজ আর শুনব না। পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপন আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি।



 

Show all comments
  • সবুর খান ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৫২ এএম says : 0
    প্রমাণ যদি না হয় তাহলে তাড়াতাড়ি তাকে মামলা থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩৬ পিএম says : 0
    ভাল
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়ার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ