পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফজাল বারী : বিএনপির নবগঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (জাতীয় স্থায়ী কমিটি) ঘোষণা করা হচ্ছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে। দলের পুনঃনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া এ কমিটি ঘোষণা করবেন। ওই কমিটিতে দলের পাঁচজনকে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যাবে। যারা শুধু সংগঠনই নয় রাষ্ট্র পরিচালনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন নানা বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটি থেকে স্ব উদ্যোগে সরে যাচ্ছেন প্রবীণ দুই নেতা। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
দলের ভেতরে-বাইরে আলোচনা রয়েছে এই কমিটির সাথেই দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ মহাসচিবের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
নানামুখী বাধা পেরেয়ি গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। রুদ্ধদ্বার আলোচনায় কাউন্সিলররা নতুন কমিটি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন পুনঃনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর। খোলামেলা আলোচনায় কাউন্সিলদের প্রত্যাশা ও মতামতের প্রতি গুরুত্ব দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি জানিয়েছেন- বন্দিদশায় বা অতীতের কথা বাদই রেখেছেন। তবে নিকট অতীতের আন্দোলন সংগ্রাম ও দল পুনর্গঠনের অন্তরায় হিসেবে নেপথ্যে কে কি ভূমিকা রেখেছেন তা নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদেরকে মীরজাফর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, আমাদের দলে কিছু বেঈমান ও মীরজাফর আছে, যারা আন্দোলনকে সফল হতে দিচ্ছে না। কাজেই এদের দল থেকে বাদ দিতে হবে। বিএনপিতে লোকের অভাব হবে না। অনেক ভালো ভালো লোক বিএনপিতে যোগ দিতে চাচ্ছে। প্রত্যাশার কমিটি গঠনে সময় লাগবে-এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রমতে, কাউন্সিলের পরপরই বিভিন্ন কমিটি গঠনের কাজে হাত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগেই সারা দেশের নেতাদের একটি দীর্ঘ তালিকা করেছেন তিনি। তাতে সহযোগিতা করেছেন স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য, একজন যুগ্ম-মহাসচিবসহ অরাজনৈতিক দুই ব্যক্তি। তাদের সহযোগীতা নিলেও অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে কমিটিগুলো করতে চান দলীয় প্রধান। তাই নিত্যদিন রাজনৈতিক কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।
একই সূত্র জানায়, আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করা হতে চান বিএনপির শীর্ষ নেতা। বর্তমান এই কমিটিতে রয়েছেন ১৯ সদস্য। এর মধ্যে ড. আর এ গণি ও সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার। তার মৃত্যুর পর মহাসচিবের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়া, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম শামছুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম. কে আনোয়ার, বেগম সারওয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, তারেক রহমান।
জানা গেছে, কমিটি বা চেয়ারপার্সন না চাইলেও দলের স্বার্থেই স্ব-ইচ্ছায় সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রবীণতম সদস্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও আরেক প্রবীণ বেগম সারোয়ারী রহমান। তাদের সরে যাবার মূলকারণ শারিরীক অসুস্থ্যতা। এই দুই নেতা মনে করেন, দলের দেয়া গুরুদায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই কমিটির তিন সদস্যের ইন্তেকাল এবং দুই সদস্যের সরে দাঁড়ানোর পর শূন্য হচ্ছে পাঁচটি সদস্যপদ। মহাসচিবের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালনের জন্য পদাধিকার বলে মির্জা ফখরুল এবারো দায়িত্ব পাচ্ছেন। কারণ তিনিই হচ্ছেন দলের মহাসচিব।
জানা গেছে, শূণ্যস্থানে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে অন্তত ১০ জন ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রামের এম মোর্শেদ খান, সাবেক বন-পরিবেশ ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী হারুন আল রশিদ, সাবেক পশু সম্পদ মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রম, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান।
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী কিশোরগঞ্জের ড. ওসমান ফারুক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ও ব্যবসায়ী নেতা ফেনীর আব্দুল আওয়াল মিন্টু। সাবেক যুগ্ম-মহাসচিবদের মধ্যে সাবেক বিমানপ্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহম্মেদের নামও শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে অপেক্ষাকৃত নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে গঠিত আসন্ন কমিটিতে প্রায় সবাই যোগ্য। তাদের মধ্যে থেকেই পাঁচ নেতার নাম উঠে এসেছে নতুন কমিটিতে। মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও অন্য চারজন হলেন- আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হারুন আল রশিদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বেগম সেলিমা রহমান। তবে শেষ সময়েও কমিটিতে নতুন মুখের বদল আসতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।