পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘের বিশ^ পর্যটন সংস্থা গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে ২০১৭ সালে স্পেন সর্বাধিক পর্যটক আকর্ষণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে অতিক্রম করে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে। ফ্রান্স আগের মতই প্রথম স্থানে রয়েছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ। আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪ শতাংশ কম। আগের বছর পর্র্যটক সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৫৯ লাখ।
কেউ কেউ বিদেশী পর্যটক আগমন হ্রাসকে ট্রাম্প ¯øাম্প (ট্রাম্প মন্দা) বলে আখ্যায়িত করেছে এবং এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু আসলে পর্যটক আগমনে মন্দার শুরু ২০১৬ সালে (২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক ৭ কোটি ৭৫ লাখ পর্যটক আগমন ঘটেছিল)।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পর্যটন গন্তব্য বিপণনকারী ব্র্যান্ড ইউএসএ-র সভাপতি ও সিইও ক্রিস থম্পসন মনে করেন , পর্যটক হ্রাসের পিছনে অন্য ও অধিক জটিল ব্যাপার রয়েছে। থম্পসন ট্রাভেল + লেইজারকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে রয়ে যাবে। ওয়াশিংটনে যা ঘটেছে পর্যটনের উপর তার প্রভাব রয়েছে, কিন্তু এ ছাড়াও আরো বহু কিছু আছে। ট্রমালী ডলার মানে কাম্প গত বছরের শুরুতেই ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কম সংখ্যক পর্যটক যুক্তরাষ্ট্র এসেছে। থম্পসন এ পর্যটক হ্রাসের জন্য শক্তিশালী আমেরিকান ডলার, নজিরবিহীন প্রবৃদ্ধি হার ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাকে তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যখন কোনো দেশে ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে তখন পর্যটক আগমন কমে যায়। ২০১১ সাল থেকে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে চলেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে দর্শনীয় বৃদ্ধি দেখা যায়। শক্তিশালী ডলার মানে কম পর্যটক।
গত বছর প্রথম দশ মাসে চীনের মত বিদেশী বাজার থেকে ডাবল ডিজিট পর্যটক আগমন বৃদ্ধি দেখা গেছে। এ নজিরবিহীন প্রবণতা নিজে থেকে টেকসই হওয়া সম্ভব নয়। গত বছর চীন আগের বছরের চেয়েও বেশি পর্যটককে স্বাগত জানাচ্ছে।
এয়ার লাইনসগুলো নতুন বাজার ও রুট খোলা অব্যাহত রেখেছে। অন্যান্য কম পর্যটক সফরকৃত গন্তব্য বাজার চাইছে ও প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন বণিক সমিতি ও জাতীয় রেস্তোরাঁ সমিতি ‘ভিজিট ইউ.এ কোয়ালিশন’ শুরু করেছে। কোয়ালিশন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণ বৃদ্ধির আশা করছে।
আমেরিকান হোটেল ও লজিং এসোসিয়েশন (এইইচএলএ)-এর সভাপতি ও সিইও ক্যাথারিন লুগার বলেছেন, ভ্রমণ ও পর্যটন আমাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানি এবং আমরা অন্যদেশগুলোর কাছে তা হারাতে পারি না। কম সংখ্যক পর্যটক মানে হোটেলে কম দিন অবস্থান, রেস্তোরাঁগুলোতে কম খাওয়া, খুচরা স্টোরগুলো থেকে কম জিনিস ক্রয় ও জাতীয় আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে কম পর্যটক আগমন। এর অর্থ কম আমেরিকান কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির ক্ষতি।
ভিজিট ইউএস কোয়ালিশন বলে, ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৪০ লাখ পর্যটক হারিয়েছে। এতে অতিরিক্ত খরচ হ্রাস পেয়েছে ৩২.২ বিলিয়ন ডলার এবং ১ লাখ লোক কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কোয়ালিশন বলে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কংগ্রেস আন্তর্জাতিক পর্যটন বৃদ্ধি করবেন বলে তারা আশা করছেন যাতে জিডিপিতে প্রশাসনের ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার দেখেছে যে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের ৬ মাসে ৩৭টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অননুক‚ল মনোভাব ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয়রা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সফর বাতিলের কারণ হিসেবে একচেটিয়াভাবে ট্র্পা প্রশাসন ও তাদের নীতির কথা উল্লেখ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক হ্রাসের কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি এককভাবে দায়ী না হতে পারে, তবে তাদের প্রভাব যে এতে পড়েনি তা পুরোপুরি বলা যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।