Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিএইচসিপিদের অবস্থানে যান চলাচল বিঘ

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চাকরি জাতীয় করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে গত শনিবার থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। সকালে সবুজ রঙের এপ্রোন পড়ে প্রায় ৫ হাজার সিএইচসিপি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। এতে দিনভর পুরো এলাকায় যান চলাচলে বাাঁধার সৃষ্টি হয়।
সংগঠনের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কামাল হোসেন সরকার ও আহ্য়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে ১৪ হাজার সিএইচসিপি’র চাকরি জাতীয়করণের জন্য ধরণা দিয়ে আসছি। কিন্তু সেসব আবেদনে কেউ কর্নপাত করে নি। তাই আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ ফেব্রæয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করবে তারা।
জানা গেছে, চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রায় ছয় বছর ধনে নানা ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে আসছে সিএইচসিপিরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা আর ক্ষোভ। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৮ জানুয়ারী কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরপর তিন দিন অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৩ জানুয়ারী থেকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে সরকার থেকে কোন ধরণের আশ্বাস না পেলে ২৭ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে তারা।
সিএইচসিপি এ্যাসোশিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সুমন মাদবর বলেন, অনেকের অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও আশ্বাসের উপর আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বা অধিদফতর থেকে তাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশের গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গৃহীত হয় যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮-২০০১ এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ পূর্বক অধিকাংশই (প্রায় আট হাজার) চালু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ পর্যন্ত চলামান থাকে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ৬ বছর প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মেয়াদের আরসি এইচসিবি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পুনঃরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। ######



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিএইচসিপিদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ