পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ বেড়ে ১০ লাখ টন ছাড়িয়েছে। গত জুন মাসে খাদ্যশস্যের মজুদ আড়াই লাখ টনে পোঁছেছিল। ওই সময় থেকেই মূলত চালের বাজার অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে যেতে থাকে। অভিযোগ উঠে সরকারি মজুদ সংকটের সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে চালের দামের দাম বৃদ্ধি করেছিল।
গত কিছুদিনে খনিকটা কমার পর এখনও মোটা চাল কেজি প্রতি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর হিসাব অনুযায়ী, কেজি প্রতি মোটা চালের দাম ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা। গত বছর এই সময়ে এই দাম ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যশস্যের সরকারি মোট মজুদ ১১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭ টন। এর মধ্যে চাল সাত লাখ ৫৫ হাজার ৮৬ টন এবং গম তিন লাখ ৪৫ হাজার ৯৮ টন। এছাড়া বন্দরে ভাসমান অবস্থায় এক লাখ ৫৫ হাজার টন খাদ্যশস্য রয়েছে।
গত বছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল প্রায় আট লাখ ৫৪ হাজার ৭৩ টন। এর মধ্যে চাল ছিল ছয় লাখ ১৬ হাজার ৪৭ টন ও গম ছিল প্রায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ২৬ টন।
এফপিএমসি’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাতে ১০ লাখ নয় হাজার ৮২ টন খাদ্যশস্য (চাল ও গম) এবং বেসরকারি খাতে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩ টনসহ মোট ৬৬ লাখ ৭৪ হাজার টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, বর্তমানে আমাদের মজুদ টার্গেটের চেয়েও বেশি আছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা মজুদ ১৫ লাখ টনে নিয়ে যাব। তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ খাদ্যশস্য খরচের বিভিন্ন খাতও আমাদের রয়েছে। তবে খাদ্য আমদানির জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি আসেনি এখনও।
এছাড়া সাড়ে চার লাখ টন আমন সংগ্রহ করা হচ্ছে, যদিও প্রথমে তিন লাখ টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়তে পারে। বাজারে চালের দাম বেড়ে গেলে দরিদ্র মানুষকে স্বস্তি দিতে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি করে সরকার। কিন্তু সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ সংকট দেখা দেওয়ায় গত বছরের শুরুতেই সারা দেশে সরকারের খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত ১৬ আগস্ট বাজার সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চাল আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে দুই শতাংশ করার ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। যদিও এর আগে দেশে চাল আমদানির উপর আরোপ করা বিভিন্ন শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। যে কোনো সংকট মোকাবেলায় পূর্ব-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) সরকার ১৫ লাখ টন চাল ও পাঁচ লাখ টন গম আমদানি করবে বলেও ওইদিন জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার টু সরকার চাল আমদানির পরিকল্পনাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। এরপরও চালের বাজারে প্রভাবে পড়েনি। চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সমালোচনার মুখে মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সরকার। অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশীদের চালকলেও অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়তে থাকে চালের দাম। গত ১৯ সেপ্টেম্বর চালকল মালিক, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকার। ওই বৈঠকে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি ও পরিবহনসহ ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়।
এরপর চালের দাম কিছুটা কমে, কিন্তু যতটা বেড়েছে সেই তুলনায় কমার হার খুবই কম। চালের দামে এখনও ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকার গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএসে আতপ চাল বিক্রি শুরু করে। দামও ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি কার্যক্রম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।