পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, স্বাধীনতার অন্যতম স্তম্ভ জাতীয়তাবাদ আজ বহুধাবিভক্ত। গণতন্ত্র নামে থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব বিপণœ। স্বাধীন দেশে আমরা চেয়েছিলাম সবার জীবনের নিরাপত্তা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের কর্মসংস্থান। কিন্তু এগুলোর পরিবর্তে এখন হত্যা, খুন, গুম নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী হত্যা, শিশু হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরে অবক্ষয় নেমে আসছে। বনানীস্থ নিজ কার্যালয়ে গতকাল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর এ সভার আয়োজন করে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম নুরু, সাংগঠনিক সম্পদাক শাহজাহান সরদার, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির আশরাফ আলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম মোস্তাফা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম দফতর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম ভূঁইয়া লিটন। অন্যদিকে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিনের প্রথম প্রহরে কাকরাইলস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে জাতীয়তাবাদী সকল শক্তিকে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে প্রকৃত জাতীয়তাবাদীদের ঐক্য হতে পারে না। জাতীয় পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রকৃত জাতীয়তাবাদের ধারক ও বাহক। তাই সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দেশের স্বার্থে জাতীয় পার্টিতেই সমবেত হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইউপি নির্বাচনে যা ঘটছে তা গণতন্ত্র বিকাশের জন্য সহায়ক নয়। ইউপি নির্বাচনে যেখানে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৭/৮ জন প্রার্থী থাকে- সেখানে এবার অনেক ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে আমরা চেয়েছিলাম সবার জীবনের নিরাপত্তা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের কর্মের সংস্থান। কিন্তু এখন হত্যা, খুন, গুম নিত্যদিনের ঘটনা। নারী হত্যা, শিশু হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরে অবক্ষয় নেমে আসছে। বেকারত্বের জ্বালায় আমাদের নাগরিকরা বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে সাগরে ডুবে মরছে, বিদেশের গণকবরে তাদের ঠাঁই হবে। এদিকে বিদেশে আমাদের শ্রমবাজার কমে যাচ্ছে। দেশেও কোনো বিনিয়োগ নেই। এই অবস্থায় দেশ চলতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।