পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, র্যাব জঙ্গিবাদ দমনে সফল। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারের র্যাবের প্রশংসনীয় সাফল্য রয়েছে। এ কারণেই জঙ্গি তৎপরতাসহ অপরাধমূলক কর্মকা- দমনে গোয়েন্দা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে র্যাব। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি এজন্য যে কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশনের মূল হল গোয়েন্দা সক্ষমতা। যেহেতু এলিট ফোর্সের মৌলিক দায়িত্ব জঙ্গিবাদ দমন। এজন্য গোয়েন্দা সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য পরিকল্পনা করছি। র্যাবের (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) দ্বাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতকাল শনিবার বাহিনীর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। বেনজির আহমেদ বলেন, র্যাব গঠনের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের সমালোচনা নিয়ে চলতে হচ্ছে র্যাবকে। আবার আদালত থেকে আসা নির্দেশনায় বাহিনীর তদন্ত সক্ষমতাও বাড়াতে বলা হয়েছে।
র্যাব প্রধান বেনজীর বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট বা চিফ জাস্টিস কোনো নির্দেশনা দেন, সেটি আমরা অনুসরণ করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে র্যাব নির্ধারিত বিষয়ে তদন্ত করে, সব বিষয়ে তদন্ত করে না। রাষ্ট্র, সরকার র্যাবকে যে তদন্ত দেয়, সেটি র্যাব তদন্ত করে। তার সংখ্যা কিন্তু বেশি না।
বেনজীর বলেন, র্যাবের সর্বাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল ডেটা বেইসও তৈরি করেছেন তারা। এর সবই তদন্তের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগছে।
র্যাবে বাছাই করা সদস্যরা কাজ করে। তদন্তের মান সন্তোষজনক। তবে এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না। ডেফিনেটলি ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি করতে চাই।
দ্বাদশ বছর পেরিয়ে আগামী এক বছরে জঙ্গিবাদ দমন, দক্ষিণাঞ্চলে জলদস্যু ও বনদস্যু দমন, ইয়াবা আগ্রাসন প্রতিরোধ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী অপতৎপরতা দমনকে অগ্রাধিকার দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান জিয়া, গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশে সে ধরনের ঘটনা ঘটলে কীভাবে মোকাবেলা করবেন, সাংবাদিকরা তা জানতে চান র্যাব মহাপরিচালকের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, যখন দেখি আমাদের অঞ্চলে কোনো দেশ জঙ্গিবাদে আক্রান্ত হয়, দূর প্রতিবেশী কোনো দেশ আক্রান্ত হয় বা সুদূর পশ্চিমে কোনো দেশ আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু আমরা তা থেকে আমাদের যা লেসন তা গ্রহণ করি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় কী হতে পারে সেটি নির্ধারণ করে সতর্কতামূলক, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কি হতে পারে, তা হালনাগাদ করে নিজেদের পরিকল্পনাকে বিন্যন্ত করি।
সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে ২০০৪ সালে পুলিশের একটি বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে র্যাব। এই বাহিনীতে পুলিশের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।