পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশালে এবার নির্বাচনী বছরের প্রথমার্ধে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরেই বহুল আলোচিত জাতীয় নির্বাচনও বরিশাল সদরসহ দক্ষিনাঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। ইতোমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মহানগরবাসীর মধ্যে যথেষ্ঠ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৩’র ১৫ জুন বরিশালসহ ৪টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল-বিএনপি’র প্রার্থীর বিজয় সরকারের দুশ্চিন্তা অনেকটাই বৃদ্ধি করেছিল। ঐ নির্বাচনের ৭ মাস পরে ২০১৪’র ৪ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিনাঞ্চলের ২১টি সংসদীয় আসনের ১০ টিতেই মহাজোট ও তাদের শরিকদলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত হন। যার মধ্যে আওয়ামী লীগেরই ছিল ৮টি। ঐ নির্বাচনে দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলার ৫টিতেই কোন ভোট গ্রহনের প্রয়োজন হয়নি। বিতর্কিত ঐ নির্বাচনে ১৯৭৩ সালের পরে বরিশাল সদর আসনটিও লাভ করে আওয়ামী লীগ। তাও বিনা প্রতিদন্ধীতায়। ২০১৩’র ১৫ মে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন বিএনপি প্রার্থী বর্তমান মেয়র আহসান হাবীব কামালের কাছে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে পরাজিত হলেও ৭ মাস পরের জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে বিনা প্রতিদন্ধীতায় তিনি নির্বাচিত হন। কিন্তু মাস তিনেকের মাথায় তার অকাল মৃত্যুতে সদর আসনটি শূণ্য হয়। সে আসনের উপ-নির্বাচনে হিরনের স্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী হন। তবে এবার বিনা প্রতিদন্ধীতায় নয়, একটি গৃহপালিত দলের একজন প্রার্থী তার বিপক্ষে ভোট লড়াইয়ের মহড়া দিয়ে জামানত হারান। দীর্ঘ ৪০ বছর পর বরিশাল সদর আসন আওয়ামী লীগের দখলে আসে ।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে এখনো নানা দ্বিধাদ্বন্ধে সরকারী দলের মত প্রধান বিরোধী দলও। আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হবার ব্যপারে বিগত পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের দৌহিত্র ও দলের মহানগর যুগ্ম সম্পাদক সাদেক আবদুল্লাহ। ইতোপূর্বে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে সাদেক নিজস্ব বলয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ক্রমে বরিশাল ‘মহানগর আওয়ামী লীগকে হিরন গ্রæপ মূক্ত’ করে দলে নিজস্ব অবস্থান মজবুত করেছেন। ক্রমে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠন তার অনুসারী হয়ে পড়ায় গতবছর এক অনুষ্ঠানে সদর অসনের বর্তমান এমপি ও সাবেক এমপি শওকত হোসন হিরনের স্ত্রী জেবুন্নেসা আফরোজ সিটি মেয়র পদে সাদেক আবদুল্লাহর নাম প্রস্তাব করেন।
সে থেকে সাদেক আবদুল্লাহর নাম সিটি মেয়র পদে অধিকতর বিবেচনায় আসলেও তার আপন চাচাসহ আরো একাধিক প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে সিটি মেয়র পদে নির্বাচনে আগ্রহী বলে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী মনোনয়ন করবেন দলীয় সভানেত্রী নিজেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে কোন মন্তব্য না করে পুরো বিষয়টি আরো পর্যবেক্ষন করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এক সময়ে ‘বিএনপি’র শহর বরিশাল’এর আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলটি কাকে মনোনয়ন দেবে তা নিয়েও যথেষ্ঠ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চরম প্রতিকুলতা অতিক্রম করে বিজয়ী হলেও গত প্রায় ৫ বছর বর্তমান মেয়র আহসান হাবীব কামাল নগরবাসীর খুব একটা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিজ দলীয় কর্মীদের একটি বড় অংশই মেয়র কামালের বিরুদ্ধে সোচ্চার। পাশাপাশি নগরবাশীর সন্তুষ্টির স্থানটিও তার জন্য যথেষ্ঠ নাজুক হওয়ায় তিনি আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করে ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কতটকু সুবিধা করতে পারবেন তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে বিএনপির একটি অংশ চাচ্ছে, সাবেক মেয়র ও হুইপ, দলের যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার মেয়র পদে নির্বাচন করুক। কিন্তু এক্ষেত্রে সারোয়ারের বক্তব্য ‘আমি তো এমপি নির্বাচন করব,মেয়র পদে নয়।’ বিএনপি’রই একাধীক মহল চাচ্ছে সারোয়ার মেয়ার পদে নির্বাচন করলে বরিশাল সদর আসনটির এমপি পদে নতুন প্রার্থী বাছাই সহজ হবে। যা অনেকের রাজনৈতিক ভাগ্য ঘুড়িয়ে দিতে পারে। বিধান অনুযায়ী ‘সিটি মেয়র পদে কোন এমপি বা অন্য কোন নির্বাচিত ব্যক্তি অংশ নিতে পারেন না’।
এসব বিবেচনায় আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রধান দুটি দলই মেয়র পদে প্রার্থী নিয়ে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী যদি সিটি মেয়র পদে আলাদা প্রার্থী মনোনয়ন দেয় তা হলে ক্ষমতাশীন দলকে কিছুটা বাড়তি সুবিধা প্রদান করতে পাড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।