পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দেবী স্বরস্বতী তাদের বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী। এই দেবীকে পূজা দিলে বিদ্যা-বুদ্ধি, জ্ঞান-গরিমা ও শিল্প-সুর পাওয়া যায়। গতকাল ছিল এই পূজার দিন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূপ-ধুনা, ফুল ও বারো রকম ফল-ফলাদিসহ নানা উপাচার দিয়ে সম্পূর্ণ ধর্মীয় কায়দায় পুরোহিতরা দেবী স্বরস্বতীর পূজা অর্চনা করেন। যা হিন্দু সমাজের জন্য খুব স্বাভাবিক। এ উপলক্ষে তাদের সন্তানদের পড়ালেখা শুরু তথা হাতেখড়ি করা হয়। আমরা অত্যন্ত গভীর দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, কোনো কোনো স্থানে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী ছাত্রছাত্রীদেরও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দৃশ্যমিডিয়ায় একাধিক অমুসলিম বা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ উপস্থাপক ও রিপোর্টারকে বলতে শোনা গেছে যে, কেবল সনাতন ধর্মী নয়, সকল ধর্মের মানুষই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। কারণ হিসাবে তারা বলেছেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” অথচ এটি একটি ইসলাম বিরোধী কথা। কারণ, উৎসবটি মূর্তিপূজা থেকে সৃষ্ট। যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও পরিত্যাজ্য। আর মুসলিম শিশুদের ‘হাতেখড়ি’ হয় না। হয় ‘বিসমিল্লাহ’। যা ‘রাব্বী যিদনি ইলমা’ ‘রাব্বিশ রাহলি সদরি’ ‘রাব্বি ইয়াসসির’ ইত্যাদি পড়ে শুরু করা হয়।
মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান, শিক্ষা, বিদ্যা, প্রতিভা, শিল্প, সাহিত্য সবকিছুর দাতা একমাত্র আল্লাহ। তাওহিদ বা একত্ববাদে বিশ্বাসী কোনো ছাত্রছাত্রী বহু দেবতায় বিশ্বাসী পৌত্তলিক ধর্মের দেবীকে অর্চনা দিয়ে বিদ্যা কামনা করতে পারে না। উৎসবে যোগ দিয়ে এই ইসলাম বিরোধী কাজকে সমর্থন ও শক্তি যোগাতে পারে না। আমরা সব মুসলমান ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই। এ আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। গতকাল সম্মিলিত মুফতি পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক আল্লামা মুফতি আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব মাওলানা মুফতি জাকারিয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের নিজেদের দ্বীন ও ঈমান রক্ষা করে সকল সম্প্রদায়ের সাথে উত্তম আচরণ বজায় রাখার আহŸান জানান। তবে কোনো উদ্দেশ্যমূলক ¯েøাগান বা প্ররোচনা অনুসরণ করে তারা যেন নিজের অজান্তেই ঈমানহারা না হয়ে যান সেদিকে স্²ূ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।