পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে পাকিস্তানে। আগামী ২ মার্চ সেখানে সিনেট নির্বাচন। এরপরই শুরু হবে এ নিয়ে আলোচনা।
এ জন্য কৌশল চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। তার আওতায় মার্চের শেষ সপ্তাহে পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টারি কমিটি ও নির্বাচন কমিশনে যাতে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য বিরোধী দলীয় নেতাদের সঙ্গে যথাযথ ঐক্যমতে পৌঁছাবে সরকার। তারপরই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসের শেষ সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী খাকান আব্বাসী। বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তত্ত¡াবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন প্রধানমন্ত্রী আব্বাসী। এক্ষেত্রে যাতে কোনো জাতীয়তাবাদী বা টেকনোক্রেটিক সরকার না আসে তা এড়ানোর জন্য একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে দেখতে চাইছে পিএমএলএন। তাই এমনই একজন প্রার্থী দিতে তারা মসৃণভাবে কাজ করছে। এমন একজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ দেয়ার পর তিনি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবেন। পিএমএলএনের সূত্র অনুযায়ী দলীয় চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দলীয় কৌশল নির্ধারণে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাতে উঠে আসছে দেশের ভিতরকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর মধ্যে রয়েছে সিনেট নির্বাচন। আলোচনা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আওয়ামী তাহরীক ও অন্যান্য দলগুলোর প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিষয়। তাই সিনেট নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ঐক্যমত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসীকে দায়িত্ব দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায় সে জন্য তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সূত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কে আসবেন এ নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
একটি সূত্র বলেছেন, এখন পর্যন্ত তিন থেকে চারজনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সরকারি নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব। বিরোধী দলগুলো যাকে বেছে নেবে তাকেই এক্ষেত্রে বাছাই করা হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতাদের মধ্যে ঐক্যমত গড়ে তুলতে চায় সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পাশাপাশি সন্ত্রাস, করাচি অপারেশন, বেলুচিস্তান শান্তি কর্মসূচি, ন্যাশনাল একশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।