পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া মামলায় সাজা খেয়ে জেলে যাবেন’ ১৯ জানুয়ারী কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলায় জাতীয় পার্টির এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা।
জাতীয় পার্টির এই নেতার এমন বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে চলছে বিতর্ক-চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবার একই প্রশ্ন প্রতিমন্ত্রী কেমনে জানলেন বেগম জিয়ার সাজা হবে? তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যে জেলে যেতে হবে? তাহলে রায় ঘোষণার আগেই তিনি কি জেনে গেছেন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে চলা জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার রায়?
বিএনপির নেতারা যখন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মামলা দ্রুত গতিতে’ চলার পিছনে রাজনীতি রয়েছে অভিযোগ তুলছেন। পাশাপাশি নিম্ন আদালতগুলো সরকারের নির্দেশে চলছে বলেও বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা দাবী করছেন আদালত চলছে তার নিজস্ব গতিতে; আদালতের উপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। তখন হঠাৎ করে জাতীয় পার্টির নেতা প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার এ বক্তব্যে নড়েচড়ে উঠেছেন সবাই। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা এরোই মধ্যে বলতে শুরু করেছেন ‘প্রতিমন্ত্রীর আগাম বার্তাই প্রমাণ দেয় সরকার বেগম জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতেই তাঁর মামলা নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। মামলার রায় কি হবে সেটাও ওপর মহল ঠিক করে দেয়’। শুধু বিএনপির নেতারাই নয় সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলে বলছেন, মামলার শুনানী এখনো চলছে। শুনানী শেষে রায় দেবে আদালত। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী জানলেন কেমন করে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে এবং তাকে ১৫ দিনের মধ্যে কারাগারে যেতে হবে?
প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গার এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মন্তব্য আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসিফ নজরুল তার ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো। ‘১৫ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আদালাতের রায় কি হবে সেটি কি ঠিক হয়ে গেছে? এটা কি এরমধ্যেই জেনে গেছেন জাতীয় পার্টির মন্ত্রী? বিচারাধীন বিষয়ে তিনি এধরনের কথা বলেন কিভাবে! মোহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন লিখেছেন, ‘বিষয়টা এমন যে-ইহা মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে ঠিক হইয়া থাকে। সুতরাং উনি আগেই জানিয়াছেন যে, খালেদা জিয়ার বাহিরে থাকিবার আয়ুস্কাল আর মাত্র ১৫ দিন। সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!’ বেলায়েত হোসাইন লিখেছেন, ‘যে দেশের প্রধানমন্ত্রি প্রতিনিয়ত খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার আগাম রায় সদৃশ উক্তি করেন সেখানে এরকম রাঙ্গা, হাসান, আর হানিফরা তো লুঙ্গি তুলে নাচবেনই তাতে অবাক হবার কিছু নাই। তাঁর উক্তিকে মিথ্যা প্রমান করে রায় লেখার পরিনতি সম্পর্কে বিচারকদের অবশ্ব্যই মিঃ সিনহার পরিনতি মনে পরবে’। মতিউর রহমান চৌধুরী লিখেছেন, ‘আদালত এখন তাদের দলীয় অফিস...বিচারক এখন তাদের কামলা.... যেভাবে তারা সাজিয়ে দিবে সেই ভাবেই রায় হবে.....তার বক্তব্য এটাই প্রমাণিত’। নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বিএনপির আইনজীবীরা বসে বসে আংগুল চোসো!---।’ আসাদ ফাহিম লিখেছেন, সাজানো মামলায় তাদের ইচ্ছে মত রায় দিয়ে দেশনেত্রীকে নির্বাচন থেকে যে দূরে রাখতে চাই তার একটি জলন্ত প্রমাণ,----’। সোহানা সুলতানা লিখেছেন, ‘এটাতো রায় শোনলাম এরপর কোন এক সকালে শোনবো খালেদা জিয়া জেলখানার ভিতরে ---। এ খবরটি শোনার জন্য আমরা সবাই মানসিকভাবে তৈরী হয়ে থাকি’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।