Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চাঁদপুরে রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুরে তীব্র শীতে রোটা ভাইরাসের প্রভাবে ব্যাপকহারে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুরা এসে ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৯০-২০০জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে হাসপাতালের রেকর্ড বুক থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ হাজার শিশু মতলব আইসিডিডি আরবিতে (ডায়রিয়া হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। গত বছর এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছিল ১৩০-১৩৫ জন শিশু।
মতলব আইসিডিডিআরবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিনে যেসব শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের বয়স ৫ মাস থেকে ৫/৬ বছর। গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ১শ’ ৭৮ জন শিশু ভর্তি হয়।
হাসপাতাল সূত্র আরো জানায়, চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ, হাইমচর, শাহরাস্তি, কচুয়া, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর, কুমিল্লার বরুড়া, চান্দিনা, বুড়িচং, কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ), দাউদকান্দি, দেবিদ্বার, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মুরাদ নগর, নাঙ্গলকোট, ফেনী, ল²ীপুর, রায়পুর, রামগঞ্জ, চাটখিলসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে শিশুরা ভর্তি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি শিশু ভর্তি হয়েছে চাঁদপুর জেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, কচুয়ার এবং বরুড়া এলাকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ভিড় অনেক বেশী। হাসপাতালের বর্হিবিভাগেও অপেক্ষমান শিশু রোগীদের ভিড় দেখা যায়। ১শ’ ২০ শয্যার এ হাসপাতালে ওয়ার্ডগুলোতে বিছানা সংকুলানের কারণে বারান্দায় তাবু টানিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসক ডাঃ চন্দ্র শেখর দাস জানান, মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরাই রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে সব চেয়ে বেশী। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এদিকে আক্রান্ত শিশুদের খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার পূর্ব চান্দ্রা থেকে আসা মাহমুদা বলেন,‘সকালে আমার মেয়ে কামরুন্নাহারকে (৯মাস) হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার ও নার্সদের পরামর্শ মত স্যালাইন ও অন্যান্য খাওয়ানোর পর এখন অনেকটা সুস্থ।’
হাসপাতালের সিনিয়র কর্মকর্তা ডা. মো. আল ফজল খান বলেন, ‘১২০ শয্যা এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায় তাবু টানিয়ে অতিযতœ সহকারে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ময়লা খাবার বর্জন, বিশুদ্ধ পানি পান করলে এবং সময় মতন শিশুদের টিকা (ভ্যাকসিন) দেয়া ও মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোটা ভাইরাসে ডায়রিয়ায়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ