পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কালোবাজারিতে জড়িয়ে পড়েছে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী
মাহফুজুল হক আনার : দিনাজপুর থেকে একতা ও দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার। ৫দিন আগেই কাউন্টারে গেলে টিকেট নেই বলে জানানো হয়। আবার অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলে টিকেট। দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রকাশ্যেই কালোবাজারে টিকেট বিক্রির দৃশ্য এখন ওপেন সিক্রেট। অভিযোগ রয়েছে টিকেট কালোবাজারীর সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে স্টেশনের উর্ধতন এক কর্মকর্তা। উক্ত কর্মকর্তা নিজের চেম্বার ছেড়ে ওলি-গলিতে অবস্থান করে দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট বিক্রি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি স্টেশন রেল কাউন্টারের সামনে এবং আশ-পাশের অন-লাইন কাউন্টার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকেট বিক্রি করছে। কাউন্টারে টিকেট না পেলেও অন-লাইন কাউন্টারে যোগাযোগ করলেই মিলে যাবে টিকেট। ওপেন-সিক্রেট কালোবাজারীদের দমনে জিআরপি পুলিশের কোন ভূমিকা চোখে পড়ে না। কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যেয়ে অনেক যাত্রীকে জিআরপি পুলিশের সামনেই লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। কিছুদিন আগে এক গণমাধ্যম কর্মী লাঞ্চিত হলে দিনাজপুরের সাংবাদিকরা সম্বিলিতভাবে প্রতিবাদ জানালে এক এ এস আইকে ক্লোজ করা হয়। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছে জেলা প্রশাসন ও র্যাব এর মোবাইল কোট এর খবর দেখি ফুটপাত আর ভেজালের দোকানে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে কারো ভূমিকা না থাকার বিষয়টি দুঃখজনক ছাড়া আর কিছু নয়।
রেলওয়েকে আধুনিকীকরণ ও জনকল্যানমুখী করার ক্ষেত্রে সরকারের একের পর এক কার্যক্রম যাত্রীদের কাছে ট্রেনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। গত দশ বছরে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতে যাত্রীদের কাছে ট্রেন হচ্ছে প্রথম পছন্দ। সড়ক পথের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বেশী সময় লাগলেও যাত্রা আরামদায়ক বলেই যাত্রীরা মত প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিককালের ট্রেনের সময়সূচীতেও খুব একটা হের ফের হয় না। তাই ভিআইপি থেকে নি¤œ আয়ের মানুষদের কাছে ট্রেন যাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেশী জনপ্রিয়। পক্ষান্তরে সড়ক পথে’র যাত্রা এখন আতংকের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় যাত্রী’র পাশাপাশি কোচের ড্রাইভাররা আতংকিত হয়ে থাকে। বেশী করে ফুলবাড়ী থেকে বিরামপুর অংশে মাঝে মাঝেই সড়ক ডেবে যাচ্ছে। ফলে কোন সময় গর্তে পড়বে এই ভয় তারা করে চলে যাত্রীদের। এর উপর যোগ হয়েছে টাঙ্গাইল অংশে সড়ক সম্প্রসারণ ও মেরামতের কাজ। যানজট এখন নিত্য নৈমিক্তিক ঘটনা। তাই সাত ঘন্টার যাত্রা অতিক্রম করতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা । আর ভাড়াও ট্রেনের চেয়ে বেশী।
এ কারনে ট্রেনই হচ্ছে দিনাজপুর-ঢাকা যাতায়াতের প্রথম পছন্দের বাহন। রেলের একটি সূত্র মতে যাত্রার ছয় দিন আগে অগ্রিম টিকেট ছাড়া হয়। টিকেট বিক্রির দিন ভোরে লাইলে দাড়িয়ে কেবিন (বাথ) পাওয়া যায় না। কাউন্টারের কথা টিকেট বিক্রি শুরু হওয়া মাত্র আগে থেকে লাইনে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীরা কেবিন(বাথ) এর টিকেট কেটে নেয়। এ বাদে জেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা ও এমপি মন্ত্রী’র কোটা’র টিকেট সংরক্ষণ করা হয়। যার পুরোটাই থাকে স্টেশন সুপারের নিয়ন্ত্রণে। তবে কাউন্টারে এসি ও নন এসি কেবিন পাওয়া না গেলেও চোরাপথে দুই থেকে তিন হাজার টাকা বেশী দিলেই কাঙ্কিত কেবিন পাওয়া যাচ্ছে। শোভন চেয়ারের ৪৬৫ টাকার টিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৭’শ টাকায়। কালোবাজারী এতটাই ওপেন সিক্রেট যে প্লাটফরমে টিকেট কাউন্টারের চেয়ে দালালরাই নিয়মিত যাত্রীদের কাছে বেশী পরিচিত হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে সদ্য যোগদানকারী উক্ত কর্মকর্তা স্টেশন চত্বরসহ স্টেশন মাষ্টারের পিছনের গলিতেই টাকার বিনিময়ে টিকেট প্রদান করে থাকেন।
এখানেই শেষ নয় কালোবাজারীদের সাথে যোগ হয়েছে ডিজিটাল কালোবাজারী। স্টেশন প্লাট ফরমের ভিতর এবং আশেপাশে রীতিমত রেলের টিকেট বিক্রি’র সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়ম হচ্ছে যাত্রীর মোবাইল নম্বর দিয়ে অন লাইনে টিকেট ক্রয় করতে হয়। অনলাইন টিকেট বিক্রেতারা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আগে-ভাগে ইচ্ছে মত টিকেট কিনে নিচ্ছে। পরে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছে যাত্রীদের কাছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।