Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত হকারদের প্রত্যাখ্যান

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাজপথে থাকার ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : জেলা, পুলিশ ও নাসিক প্রশাসনের হকারদের বসার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে হকাররা। ‘কেউ বসবে কেউ বসবেনা, তা হবেনা তা হবেনা। বসলে একসাথে বসবো, না হয় কেউ সববো না’।
এর আগে গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হকার সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে জানানো হয় মেয়র আইভী ও সাংসদ সেলিম ওসমানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বঙ্গবন্ধু সড়ক ছাড়া অন্যান্য সড়কে আপাত হকাররা বসবে। পরে তিন প্রশাসন তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। তারা স্থায়ীভাবে কোথায় বসবে।
এদিকে এই সিদ্ধান্তের পর একই দিন সন্ধ্যার পর মুহুর্তে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়া হকারদের এ কথা জানান শ্রমিক নেতা হাফিজুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হকাররা ডিসি-এসপি’র দেয়া ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানসহ বঙ্গবন্ধু সড়কে বসার দাবিতে অটল থেকে জানায়, তারা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে রাজপথ ছাড়বে।
অপরদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নগরীর ফুটপাতে হকারদের বসতে দেয়ার দাবিতে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল হকার জড়ো হতে সকাল থেকে মাইকিং করে হকার সংগ্রাম পরিষদ। কিন্তু তার আগেই হকার নেতৃবৃন্দদের তলব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। পরে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শ্রমিক নেতা ও কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে হকারদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং জেলা প্রশাসকের সাথে দীর্ঘসময় রুদ্ধদার বৈঠক করেন। এ সময় সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।
ওই বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক ও র‌্যাব-১১’র সিইও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে হকারদের পক্ষে শ্রমিক নেতা হাফিজসহ আরও উপস্থিত ছিলেন, হকার্স লীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সি ও হকার সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মো. আসাদ।
বৈঠক শেষে বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে হকার নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতা হাফিজ উদ্দিন চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারে এসে অপেক্ষমান হকারদের কাছে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। শ্রমিক নেতা হাফিজ হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ডিসি ও এসপি মহোদয় আপনাদের ফুটপাতে বসে বেঁচাকেনা করার অনুমতি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সড়ক ছাড়া শহরের অন্যান্য সড়কে ৫ টার পর থেকে বসার অনুমতি দিয়েছেন।
হাফিজের এমন ঘোষণায় একটি পক্ষ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বঙ্গবন্ধু সড়কে যারা হকারি করতেন তারা খুশি হতে পারেননি। তাৎক্ষনিকভাবে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত মানেন না বশ্লোগান দেন। সেই সাথে তারা তাদের শ্লোগানে আরও বলেন, কেউ বসবে কেউ বসবেনা, তা হবেনা তা হবেনা। বসলে একসাথে বসবো, না হয় কেউ বসবোনা। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে হকার্স লীগ মহানগর শাখার সভাপতি রহিম মুন্সি ওই দাবির সাথে একমত পোষণ করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো হকার দোকান নিয়ে ফুটপাতে বসবেনা বলে আস্বস্থ করলে ক্ষুদ্ধ হকাররা শান্ত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হকারদের প্রত্যাখ্যান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ