পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের কাছে গিয়ে কোন মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে দোষী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, পুলিশ ভাল কাজ করলে জনগণের সাথে সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে। জনগণের কাছে পুলিশ বাহিনীর জবাবদিহিতা থাকবে। তাহলে পুলিশ-জনগণ দূরত্ব কমে আসবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক কল্যাণে যেকোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় পুলিশ ও জনগণ একসাথে কাজ করবে। তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ড. এস এম মনির উজ জামান, সিএমপি কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, কেডিএস গ্রæপের চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব প্রমুখ। এর আগে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে নবনির্মিত পুলিশ ব্যারাকের উদ্বোধন ও ৪তলা বিশিষ্ট অস্ত্রাগার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মোনাজাতে শরিক হন আইজিপি।
আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, এক সময় দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব ছিল। বিভিন্ন বাহিনীর দ্বারা দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাত পারতো না। মানুষ হত্যা, লুটতরাজ ও মানুষকে অপহরণ করে লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। চট্টগ্রামেও বিভিন্ন বাহিনী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করে এদেশের মানুষকে সুখে-শান্তিতে রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ সহ্য করতে না পেরে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশের আনাচে কানাচে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তুলেছে। পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে যেখানে জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়া গেছে সেখানে হানা দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে। দেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।