পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের আদলে দেশ গড়ার ‘আনন্দের জোরে’ জীবনের ৮৩ বছর বয়সেও অবসর ভুলে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি, এই ৮৩ বছর বয়সেও আমি দেশ সেবায় নিযুক্ত আছি। যদিও অবসর গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটা একটা আনন্দ। দেশ সেবা একটা মহা আনন্দের বিষয়। সেই আনন্দের জোরে আমি এখনও সক্ষমভাবে চলতে আছি। আমার এর চেয়ে বড় পাওয়া হতে পারে না।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০১৬’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি নিজের এ আনন্দের কথা জানান। স্বাধীনতা উৎসবের প্রথম পর্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম ৪৫টি দেশের ৪২টির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সামরিক শাসন পেরিয়ে ১৬ বছরের মাথায় স্বৈারাচার পতন এবং গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ‘ইতিবাচক সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করে মুহিত বলেন, সেই পরিবর্তনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত-আমারও একটা ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়। সেই সুযোগ অনেকেরই হয় না। কারণ মুক্তিযুদ্ধ অনেকেই করে, বিভিন্নভাবে করে। কিন্তু যে সৌভাগ্যটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পরে, যে স্বপ্ন দেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলাম, সেই স্বপ্নটাকে অর্জন করতে অবদান রাখা।
একাত্তরে প্রবাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
মুহিত বলেন, আজকের দিনটা আমাদের জন্মদিন। দুপুর রাতে আমাদের জন্ম হয়েছে। এই দিনে অনেক কথাই মনে আসে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, গণতন্ত্রের জন্য শোষণের বিরুদ্ধে। আমরা চেয়েছি, আমাদের জীবন যাতে নিজেদের ইচ্ছামত গড়ে তুলতে পারি। তাতে যখন বাধা আসলো, তখনই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।
তিনি বলেন, আমাদের এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছে। ভারত আমাদের প্রস্তুতিতে যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করেছে। অস্ত্রশস্ত্রও সরবরাহ করেছে। সেখানে ইন্দিরা গান্ধী অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে আমাদেরকে সহায়তা দেন।
তিনি বলেন, ইন্দিরা বলেছেন, এত বড় গণহত্য হচ্ছে, সেজন্য তোমরা কিছু করো। অক্টোবরে ১১টি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তখন সাহায্য যখন আসেনি, বললেন, আমার আর কোনো উপায় নেই। এই আগ্রাসনকে আমাকে মিট করতেই হবে। তারপর শুরু ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন না থাকলে ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষে এতো দূর অগ্রসর হওয়া সহজ ছিল না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, আমরা যুদ্ধে যখন জিতে গেছি, তখন প্রায় হারতে বসেছিলাম, তখন রাশিয়ার উপর্যুপরি তিনটি ভেটো আমাদের রক্ষা করেছে। আমাদের প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তখন স্বীকৃতি পাওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।
বিশ শতকে ‘এ রকম জন্ম’ আর কোনো দেশের হয়নি মন্তব্য করে মুহিত বলেন, একমাত্র বিভক্তি যেখানে যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যুদ্ধ করে। সেটাও অদ্ভুত যুদ্ধ, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠরা যুদ্ধ করে ক্ষমতাশালী সংখ্যালঘিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। সেটা করে আমরা আমাদের স্বাধীনতা হাসিল করি। আমার জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময়টি হচ্ছে ১৯৭১ সাল।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদেরও দুঃখ গেছে। যেখানেই কোনো বিপ্লব হয়, সেখানে প্রতিবিপ্লব স্বাভাবিক। ১৭৮৯ সালে ফ্রান্সে এত বড় বিপ্লব হয়েছে, চিন্তার জগতে বিরাট বিপ্লব, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিপ্লব। কিন্তু সেই বিপ্লব টিকে নাই। সেই বিপ্লব প্রতিবিপ্লবের কাছে হার মানে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।