পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এটা আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের লড়াই না -শামীম ওসমান
নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আমাকে হত্যার জন্যই এভাবে স্বশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। আমার কোনো ঝগড়া করার উদ্দেশ্য ছিল না। কার উস্কানিতে এভাবে হামলা করা হয়েছে, সেটা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। আর এজন্য আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। গতকাল বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আইভী আরো বলেন, এখানে আমার কোনে দোষ ছিল না। আমি হকারদের সরিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমার উপর হামলা করা হয়েছে। ইটের আঘাতে আমি নিজে পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। আমার অসংখ্য কর্মী আহত হয়েছে। সাংবাদিকরা আহত হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আইভী বলেন, হকাররা ফুটপাতে বসবে না। যদি বসে তাহলে কি করবেন এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার দেখবে। এখন যেহেতু বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহল অবগত হয়েছেন তারাই দেখবেন। এটা এখন আর আমার একার দায়িত্ব নয়।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শামীম ওসমান এমপি বলেন, ওই ঘটনা শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর কোন লড়াই না। এটাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা অনেকেই উপস্থাপন করেনি। বিএনপি ক্যাডার ও জোড়া খুনের আসামী বেষ্টিত হয়ে আইভীর মিছিল থেকে গুলি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। ওই সময়ে তিনি ঘটনার দিনের কিছু ভিডিও ও ছবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
শামীম ওসমান বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে আমাকে পুলিশ থেকে জানানো হলো আইভী মিছিল করে আসবেন। আমি তখন হকারদের বলে দিলাম কেউ কোন বাধা দিবে না। আইভী তার কাজ করুক। কিন্তু পরে জানলাম আইভী বিএনপির যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, বিএনপির ক্যাডার সুমন, জোড়া খুনের মামলার আসামীর লোকজন বেষ্টিত হয়ে মিছিল নিয়ে আসলো। তাদের মিছিল চাষাঢ়ায় আসার পর সুমন নামের একজনকে গুলি করতে দেখা গেছে। সঙ্গে থাকা সুফিয়ানকেও (জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) দেখলাম অস্ত্র বের করে গুলি করতে। কিন্তু এগুলো মিডিয়াতে আসে নাই। বার বার নিয়াজুলকে শামীম ওসমানের লোক বলা হলো। প্রকৃত হলো নিয়াজুল এক সময়ে আমাদের কর্মী ছিল। নিয়াজুল হলো নজরুল ইসলাম সুইটের ছোট ভাই। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কারাগারে থাকা সুইটকে বাইরে এনে হত্যা করা হয়েছে। সেই সুইটের ভাই মঙ্গলবার বিকেলে একা একা হেঁটে আসার সময়ে মিছিল থেকে তিনবার মাটিতে ফেলে ১০ মিনিট ধরে পেটানো হয়। চতুর্থবার বাধ্য হয়ে নিয়াজুল লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে। তার পিস্তলটি খোয়া গেছে কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল গেলে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও বলবো যদি নিয়াজুল সেখানে কোন অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সে কোন গুলি করলে সেটাও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই শামীম ওসমান বলেন, গরিব অসহায়দের জন্য আমি সব সময়ে কাজ করবো। যদি তাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাকে দল ছেড়ে দিতে হয় দিব। এতে কোন আপত্তি নাই। তার পরেও যদি গরীবেরা বেঁচে থাকে।
মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার দাবী করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ওই ব্যাপারে শামীম ওসমান বলেন, এগুলো স্ট্যান্ডবাজি। কারণ এর আগেও চারজন ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার চেয়েছিলেন আইভী। আমার কথায় প্রশাসন চলে না। চললে মঙ্গলবার ঘটনার পর তো নিয়াজুলের মামলা পুলিশ নিত।
সবাইকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধ এমপি সেলিম ওসমানের
শহরে হকার ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনাকে অত্যন্ত দু:খজনক বলে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি বর্তমানে ব্যবসায়ীক কাজে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। শহরে হকারদের সাথে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর অনুসারীদের সংঘর্ষের খরব পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে টেলিফোনে খোঁজ নেন। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে শহরকে শান্ত রাখার আহবান রাখেন। সেই সাথে তাৎক্ষনিকভাবে সকলকে শান্ত হওয়ার আহবান রেখে এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
বিদেশে অবস্থারত সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। এতে সাধারণ জনগনের নিরাপত্তাহানি হয়েছে। এমন ঘটনার যাতে আর পুণরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সকল নেতাকর্মীর কাছে সবিনয় অনুরোধ রাখছি। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষেই নিস্পত্তি করার জন্য সকলের কাছে আহবান রাখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।