পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চালের মূল্যবৃদ্ধি করার অপচেষ্টা রোধকরণসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরো জানান, সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ক্রমশঃ হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গতকাল সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ চালের বাজার স্বাভাবিক এবং জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সভাপতিত্বে মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সব সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, দেশের চাহিদা নির্ণয়, স্থানীয় উৎপাদন, মজুদ পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকেও আমদানি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যালোচনা করে পণ্যভিত্তিক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীলকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মিনায়নমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পেঁয়াজের বিপণন ব্যবস্থায় সরকারের নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের দেশজ ঘাটতি প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন। এ ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির মূল উৎস্য হচ্ছে ভারত। কিন্তু মে-জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাক্সিক্ষত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ওই মূল্যে বাংলাদেশি আমদানিকারকগণ পেঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদকৃত পেঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ওষুধ রফতানি করে বাংলাদেশ ৮৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওষুধ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।