পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাখাওয়াত হোসেন : বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে পেরেছেন সাধারন মুসল্লিরা। ইজতেমার ময়দান থেকে বের হয়ে কিছুটা রাস্তা হেটে যেতে হলেও বড় কোন যানজটে পড়তে হয়নি কাউকে। পুলিশের সমন্বিত পদক্ষেপের কারনেই লাখ লাখ ধর্মপ্রান মুসলমানের জমায়েত শেষে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে কোন ভ’গান্তি ছাড়া। প্রথম দফায় বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে থেকে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ, স্ট্যুরিস পুলিশ, বিআইডাবিøউটিএ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সমন্বিত বৈঠক করে নিরাপত্তার ছক তৈরি করেন। এর পর ট্টাফিকসহ সার্বিক নিরাপত্তায় ৭হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা মনিটরিং করেন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-ফারুক গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ট্টাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয় ভাবে মনিটরিং করা হয়েছে। একই সাথে জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে মুসল্লিদের আশা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ইজতেমা শেষে সাধারন মানুষের বাড়ি ফেরার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ, স্ট্যুরিস পুলিশ ও বিআইডাবিøউটিএসহ সংশ্লিষ্ট্র সকলের সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করেছি। সকল সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ এবং ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সহযোগিতার কারনে কোন সমস্যা ছাড়াই প্রথম দফায় বিশ্ব ইজতেমা সম্পূন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-ফারুক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবার ইজতেমা ময়দানে যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘেœ আসতে পারেন সেজন্য যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পাশাপাশি তুরাগ নদীতে নৌ-পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি খিত্তা ও ময়দানের আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করে। ময়দানের আশপাশের এলাকা হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত করা হয়। ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় গুরুত্ব দিয়ে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করেন। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতের পর অনেকটা পথ হেটে এসে গাড়িতে উঠতে হয়েছে। কষ্ট হলেও খুশী যে কোন যানজটে পড়তে হবে না। গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ সেবার মানসিকতা নিয়ে রাত-দিন কাজ করেছে। নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়া হয়নি। মুসল্লিদের যাতে কোন সমস্যা বা হয়রানীতে পড়তে না হয় সে জন্য সব ধরনের মনিটরিং করা হয়। প্রায় ৪০জন পকেটমার ও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন সমস্যা ছাড়াই নিরাপদে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরতে পেরেছেন এটাই পুলিশের সাফল্য বলে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। উত্তরা এলাকায় কর্মরতত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বলেন, মোনাজাতের পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে যায়। তখন গাড়ি চলাচল করতেও সমস্যা হচ্ছিল। সকলের সহযোগিতায় কোন সমস্যা হয়নি। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে গত শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ইজতেমা ময়দান ছাড়াও দক্ষিণে খিলক্ষেত, উত্তরে চেরাগ আলী, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষ শামিল হন এই মোনাজাতে। মোনাজাত শেষে টঙ্গী থেকে সবার বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে ১৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। তারপরও সবার একসঙ্গে বাড়ি ফেরার তাড়াহুড়ায় টঙ্গীর কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী- কালীগঞ্জ সড়কের আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের সড়ক-মহাসড়ক এবং সংযোগ সড়কগুলোতে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।