পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের লালবাগ ও বকশিবাজারের বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্থা। বহুদিন ড্রেনেজের কাজ না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই এ এলাকায় পানি থৈ থৈ করে। শীতের সময়ে গ্যাস সঙ্কট। গরমে পানি সঙ্কট, মাদক সমস্যা তো এই এলাকার নিত্যনৈমেত্তিক বিষয়। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা। বিকট দুর্গন্ধে নাকে রোমাল চেপে রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়। এছাড়াও লালবাগের আজিমপুর সাইডের সড়কগুলোর উপর শত শত যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে এ সড়কগুলোতে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকাবাসিকে। রাস্তার উপর রয়েছে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড। এ যেন দেখার কেউ নেই।
পুরান ঢাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ, আজিমপুর রোড, বটতলা, বিসি দাস স্ট্রীট, লালবাগ রোড, আজিমপুর সরকারি কলোনী, পলাশী সরকারি কলোনী, ঢাকেশ্বরী রোড এলাকারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের এমন দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও বর্তমানে ওই এলাকার মানুষের গলারকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার উপর অবৈধ অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা।
২৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে ঢাকার প্রধান মুসলিম কবরস্থান আজিমপুর কবরস্থান। ওয়ার্ডের উত্তর দিকে নীলক্ষেত ও নিউ মার্কেট এলাকা, দক্ষিণে লালবাগ এলাকা, পূর্ব দিকে বকশীবাজার আর পশ্চিম দিকে আজিমপুর পিলখানা রোড।
আজিমপুর এলাকাজুড়ে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে জনদুর্ভোগ। রাস্তার অর্ধেক জুড়েই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং করার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। আশপাশের মার্কেটগুলোর চিত্রও একই। কিন্তু এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজিমপুর এলাকায় অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। এতে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষকে। সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত মোড়ের যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় আজিমপুর এলাকার পার্কিং অব্যবস্থাপনাকে। আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতাল, ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত ভিআইপি ২৭, বিহঙ্গ পরিবহন, শিকড় পরিবহন অন্যান্য পরিবহণের শত শত লোকাল বাস রাস্তার দুপাশে পার্কিং করে রাখা।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির মৌসুমে এই ওয়ার্ডটিতে পানিবদ্ধতা ও পয়োনিষ্কাশনে দুর্ভোগ পোয়াতে হয়। আর শীতের সময়ে গ্যাস সঙ্কট। গরম আসলে পানি সঙ্কট এবং মাদক সমস্যা তো আছেই। তবে প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে পানি নিষ্কাশন, মাদক ও আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড।
ফিরোজ কবির চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, এ এলাকায় গণপরিবহনের আনাগোনা বাড়লেও সে অনুপাতে পার্কিং ব্যবস্থাপনা খুবই অপ্রতুল। বাধ্য হয়েই কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে অবৈধ পার্কিং। এতে বেড়েই চলেছে জনদুর্ভোগ। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ তাদের গন্তব্যস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক ওয়াসা ও রাস্তার উপরে অবৈধভাবে বাস পার্কিংয়ের কারণে বাস মালিকদের প্রতি তার ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের মূল সমস্যাই অবৈধ বাসস্ট্যান্ডটি। আজিমপুরে রাস্তার দুপাশে পরিবহনের জন্য সায়দাবাদ টার্মিনাল হয়ে গেছে। অথচ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এ ওয়ার্ডে। ইডেন কলেজ, আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুল, গার্হস্থ কলেজ, অগ্রণী স্কুল। কিন্তু পরিবহনের কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা হাঁটতে পারেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার পাশে বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বিভিন্ন সময়ে স্ট্যান্ড উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রভাবশালীর বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়।
ওয়াসার ব্যাপারে তরুণ এই কাউন্সিলর বলেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ, পলাশী ও ঢাকেশ্বরী রোড পর্যন্ত স্যুয়ারেজ লাইন পরিবর্তন করেছি। তবে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পলাশী মোড় পর্যন্ত নিচু জায়গা হওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে পানি জমে। ওয়াসা শুধু স্যুয়ারেজের লাইনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনকে দিলে চলবে না। পুরো ওয়াসার কাজের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনকে বুঝে দিতে হবে। কারণ স্যুয়ারেজ লাইনের আয়-ইনকাম নেই। ওয়াসার কারণে রাস্তায় পানি জমে থাকে এর বদনাম সিটি কর্পোরেশনকে নিতে হয়। ওয়াসা যদি স্যুয়ারেজ লাইন পরিস্কার করত তাহলে ঢাকাবাসীকে পানিবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোয়াতে হত না।
তিনি বলেন, ওয়াসার সকল ক্ষমতা ওয়াসার এমডির হাতে। তিনি ওয়াসা পরিচালনা করেন। বোর্ড মেম্বার হিসেবে আমাকে যখন ডাকে তখন বোর্ড মিটিং উপস্থিত থাকি। কারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু ওয়াসাতে যারা চাকরি করেন তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নন। বোর্ড সভায় ওয়াসার এমডি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কাজ করেন না বলে জানান এ কাউন্সিলর। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।