পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রয়োজনীয়তা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে না তা হতে পারে না। এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে কথা বলে। সরকার পশ্চিমাদের খুশি করার জন্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার হীন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের রিট সচল করায় জাতিকে হতাশা করেছে। এতে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এ চক্রান্ত এদেশের জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। সরকারের উচিত ৯৫ ভাগ মুসলমানের পক্ষ হয়ে রিট খারিজের ব্যবস্থা করা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রয়োজনীয়তা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী, সহ-সভাপতি আল্লামা মোস্তফা আজাদ, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব জনাব আবুল খায়ের, জমিয়তে সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভঁ‚ইয়া, জাগপার মহাসচিব জনাব লুৎফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. উবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য এড. শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাজমুল হাসান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ আতিকুজ্জামান, অর্থ-সম্পাদক মাওলানা মুনির হুসাইন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নাছির উদ্দিন খান, ছাত্র জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক আব্দুল জলিল, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী।
সমাপনী বক্তব্যে আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী বলেন, ইসলাম আছে ইসলাম থাকবে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার শক্তি কারো নেই। সুতরাং সকল ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে মুসলমানদের পক্ষে সরকারকে অবস্থান না নিলে পরিণতি ভালো হতে পারে না। পরবর্তীতে সকলের সাথে আরও ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে মুসলমানরা পরিচয়হীন হয়ে যাবে। সুতরাং তা বহাল রাখার জন্য যা করার দরকার তাই করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এগুলো আদালতের বিষয় নয় এমনকি রিটের এখতিয়ারের ভেতর কীনা তা সরকারকেই অন্যেষণ করতে হবে।
মাও. আব্দুর রব ইউসুফ বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ইসলাম ওতোপ্রতভাবে জড়িত। দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণœ রাখতে হলে দেশের জনগণের ধর্মীয় অধিকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
মাও. মোস্তফা আযাদ বলেন, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে একটি আতংক জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব চক্রান্তের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, বহু দেশে রাষ্ট্রধর্ম বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশেও রাষ্ট্রধর্ম থাকতে হবে।
এড. আব্দুল রকিব বলেন, দেশকে শান্ত করতে হলে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।
জনাব আবুল খায়ের বলেন : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার দায়িত্ব সরকারের সুতরাং সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জনগণ বসে থাকবে না।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে- আইনজীবীদের মাধ্যমে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান, মানববন্ধন করা এবং রাজপথে শক্ত কর্মসূচি দেওয়া।
ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি
ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস সারা দেশের নেতাকর্মীদের আগামীকালের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সা¤্রাজ্যবাদীদের এজেন্টরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার পাঁয়তারা কোনোভাবেই এটা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালবাগস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মাওলানা শাহ্ আতাউল্লাহ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা রেজাউল করীম। বক্তাগণ বলেন, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।