পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি, চালকের সাথে দুর্ব্যবহার ও মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে সড়কের তিন দিকে ৬ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ। স্থানীয় লোকজনের সুবিধার্থে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সরাইল-নাসিরনগর সড়কের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কে অটোরিক্সা চলাচল শিথিল করে।
এ সুযোগে সরাইল থানা ও বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ বিশেষ কায়দায় ঘুষের বিনিময়ে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলের সুযোগ করে দেয়। ফলে বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জ ও কুট্টাপাড়া মোড় থেকে মাধবপুর পর্যন্ত মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল করে। যারা মাসিক চাঁদা দেয় শুধু তাদের জন্য। চাঁদা না দিয়ে চলাচলকারী অটোরিক্সা আটকিয়ে নগদ টাকা আদায় করে পুলিশ। টাকা না দিলে দেয়া হচ্ছে মামলা। টাকা দিতে দেরি হলে চালকদের বেধরক পেটানোর ঘটনাও ঘটছে। সম্প্রতি বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার এসআই রাম প্রসাদ ও তার কয়েকজন সহযোগী চাঁদা আদায়, সিএনজি আটক ও চালকদের মারধর করার বিষয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। গতকাল সকালে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক আটক করেন রাম প্রসাদ ঘোষ। পরে চালক সেলিম মিয়া (২৮) মারধর করে পুলিশ। ট্রাকের কাগজ নিয়ে আসার আগেই মামলা করে পুলিশ। প্রতিবাদ করায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আবু মিয়াকেও শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে। প্রতিবাদে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক মিজানুর রহমান, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে ট্রাক ও সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। শ্রমিকরা পথসভা করে। অবরোধের ঢাকা-সিলেট, কুমিলা-সিলেট ও সিলেট-ময়মনসিংহ/চট্টগ্রাম মহাসড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ ট্রাক ও অটোরিক্সায় নিয়মিত চাঁদাবাজী করছে। চাঁদা না দিলে চালকদের মারধর করে। অযথা গাড়ির নামে মামলা করে। অভিযুক্ত রাম প্রসাদের অপসারনের দাবী জানান। বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশের এসআই রাম প্রসাদ ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোড পারমিট না থাকায় ওই ট্রাকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। অনৈতিক কোন কাজ করিনি। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাঈনুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে রাম প্রসাদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।