Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএনসিসি নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ২০ দল প্রার্থী ঠিক করবেন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। জোটের প্রার্থী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। প্রার্থী ঠিক করার ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা। গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূণ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি ভোটের দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা পাওয়ার আশা নিয়ে ইতোমধ্যে মাঠে নেমে গেছেন আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এখনো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যদিও বিএনপির জোটসঙ্গী দল জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা উপ-নির্বাচনের জন্য তাদের দলীয় নেতা সেলিম উদ্দিনকে নিয়ে প্রচারে নেমেছে। বিএনপিকে না জানিয়ে জামায়াতের এই পদক্ষেপের মধ্যে সোমবার রাতে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়া। বৈঠকের বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এম এ রকীব বলেন, ঢাকা উত্তরের আসন্ন নির্বাচনে জোটের একক প্রার্থী হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন জোটনেত্রী। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী ঠিক করার দায়িত্ব আমরা বেগম খালেদা জিয়ার হাতেই অর্পণ করেছি। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এ নিয়ে কোনো কথা চলবে না। বৈঠকে দুটি শরিক দলের নেতা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টি তুলে সমালোচনা করেন বলে এক নেতা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, জবাবে বৈঠকে অংশ নেওয়া জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে যে কেউ প্রার্থী ঘোষণা করতেই পারে। তবে জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই তারা মেনে চলবেন। বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়েও জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন খালেদা।
আবদুর রব ইউসুফী বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া জোট নির্বাচনে যাবে না। অবশ্যই একাদশ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও তাতে সরকারের সাড়া নেই। পাশাপাশি বিএনপির আশঙ্কা, আদালতের রায়ের মাধ্যমে খালেদাকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা হতে পারে। বৈঠকে ঢাকায় একটি উলামা-মাশায়েখ এবং আইনজীবীদের সম্মেলন করার সিদ্ধান্তও হয়। বৈঠকে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মঞ্জুর হোসেন ঈসা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন বৈঠকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএনসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ