পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবির মুখে ২৫ শতাংশ অধ্যাপককে প্রথম গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মোট ২৫ শতাংশ প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। তবে এ জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর এ বিষয়টি নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ওই বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বৈঠকে অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা সমাধানে পৌঁছা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দ্বিতীয় গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডে এবং তৃতীয় গ্রেড থেকে দ্বিতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। তবে মোট অধ্যাপকদের ২৫ শতাংশ প্রথম গ্রেডে উন্নীত হবেন। এ জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো, প্রথম গ্রেডে উন্নীত হতে হলে দ্বিতীয় গ্রেডে অন্তত দুই বছর চাকরি করতে হবে; অধ্যাপক হিসেবে চাকরির বয়স ১০ বছর হতে হবে; আর সর্বমোট চাকরি বয়স হতে হবে ২০ বছর। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখান থেকে এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে, সেখান থেকে অনুমোদন হওয়ার পরে পরে আরও কিছু কাজ রয়েছে, তারপর এটা কার্যকর হবে।
অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বা পদায়ন পাবেন। অধ্যাপক পদে চার বছর কোয়ালিফায়িং চাকরির মেয়াদ এবং স্বীকৃত জার্নালে গবেষণাধর্মী নতুন দুটি আর্টিকেল প্রকাশের শর্তে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বিতীয় গ্রেড প্রাপ্ত হবেন।দ্বিতীয় গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকগণ মোট কোয়ালিফায়িং চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২০ বছর এবং দ্বিতীয় গ্রেডের সীমায় পৌঁছানোর ২ বছর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম গ্রেড প্রাপ্ত হবেন।
এদিকে ২৫ শতাংশ অধ্যাপককে প্রথম গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ রেখে অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা খুবই খুশি।যে দাবি আদায়ে সংগ্রাম করেছিলাম, তা আদায় হয়েছে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।অষ্টম বেতন কাঠামোয় অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেডের উপরে ওঠার পথ বন্ধ হয়েছিল জানিয়ে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, নতুন বেতন কাঠামোয় বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান হল।
উল্লেখ্য, অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষকরা। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন।গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিলেও তার ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে তার মধ্যে প্রথম দুটির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।এই প্রেক্ষাপটে ৩ জানুয়ারি থেকে কালো ব্যাজ পরে ক্লাস নেন শিক্ষকরা। সাময়িক কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটও পালন করে। সংকটের সমাধান না হলে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। কর্মবিরতিও শুরু করেন শিক্ষকরা, এরপর সরকারের আশ্বাসে ওই কর্মসূচি থেকে ফিরে আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।