পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ও ১১ জানুয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার : কোনো সরকারি ট্রাস্টে নয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য কুয়েতের তৎকালীন আমির টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। খালেদা জিযার এই আইনজীবী আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্য প্রাইভেট ট্রাস্ট গঠনের জন্য। এটি কোনো সরকারি ট্রাস্ট বা তহবিলে দেয়া হয়নি। আপনি চাইলে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানের আদেশ দিতে পারেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সপ্তম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন এই আইনজীবী। পরবর্তী শুনানি ১০ ও ১১ জানুয়ারি।
এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল সিদ্দিকীর পিএস ছিলেন জগলুল পাশা। ওই সময়ে পিএসের প্রধানমন্ত্রীর ফাইল দেখার কোনো অনুমোদন ছিলো না। যে কারণে সাক্ষী জগলুল পাশা তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, তিনি জিয়া অনফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মূল নথি দেখেননি এবং খুঁজে পাননি। বরং স্মৃতি থেকে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ মামলার মিথ্যা নথি তৈরি করেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় জালিয়াতি করে এ নথি তৈরি করা হয়েছে।
এরপর কুয়েত দূতাবাসের দেয়া একটি নথি আদালতে উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতে কুয়েতের অ্যাম্বাসি কর্তৃক একটি নথি দেয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে এই টাকা কুয়েতের আমির প্রদান করেছিলেন এবং এটা ছিলো জিয়াউর রহমানের জন্য প্রাইভেট ট্রাস্ট গঠনের জন্য। এটি কোনো সরকারি ট্রাস্ট বা তহবিলে দেয়া হয়নি। আপনি চাইলে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানের আদেশ দিতে পারেন। তাহলে প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।এ সময় আদালত জানতে চান, কুয়েতের আমিরের পাঠানো টাকা জিয়াউর রহমানের নামে গঠিত ট্রাস্টে এসেছিল না অন্য কোনো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছিল। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বলেন, এই মুহূর্তে এটা জরুরি না। এই মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে এটা কী প্রাইভেট ট্রাস্ট না পাবলিক ট্রাস্ট সেটা নির্ধারণ করা। এরপর আদালত আবারো জানতে চান, কুয়েত আমিরের পাঠানো অর্থ কোন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছে? জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকাটি বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
এসময় দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, উনারা জেরা থেকে না বলে নতুন নতুন কথা বলছেন। এ সময় এসব বলার সুযোগ নেই। জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, আমি যা বলছি তা মামলার নথি ও ৩২ জন সাক্ষীর বক্তব্য থেকেই বলছি।
প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল বলতে কিছু নাই। আমি আশা করব আমার শুনানিকালে উনি ডিস্টার্ব করবেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো টাকা তিনি এনেছেন বা উত্তোলন করেছেন এ ধরনের কোনো সাক্ষর নেই। সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলার নথি তৈরি করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী এ মামলা গ্রহণের সুযোগ ছিলো না। এ পর্যায়ে আজকের কার্যক্রম শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।