পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা কী বলব, আমার নিজেরই তো ভয় লাগে। বিনা কারণে কোনো নাগরিক একদিন জেলে রাখাও সংবিধান সমর্থন করে না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আমির-উল ইসলাম। এসময় উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ও রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
শুনানির এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ ব্যারিস্টার এম. আমির-উল ইসলামের কাছে আদালত জানতে চান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাউকে সাজা দেন, তাহলে সেই অর্ডারটা এক্সিকিউটিভ অর্ডার না জুডিশিয়াল অর্ডার হবে? পরে আদালত আধা ঘণ্টার জন্য বিরতিতে যান। পরে শুনানি শুরু হলে ব্যারিস্টান আমীর তার লিখিত শুনানি উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় আদালত তাকে সাক্ষ্য আইন পড়তে বললে আইনজীবী বলেন, আমি যেটা বুঝেছি তা আমি লিখিতভাবে উপস্থাপন করছি। এটি না শুনেই আপনারা কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারেন না।
এ পর্যায়ে আদালত বলে, ঠিক আছে, আপনি শুনানি করেন। শুনানি শেষ হলে বলবেন। কতগুলো বিষয় বোঝার জন্য আমাদের কিছু প্রশ্ন আছে। লিখিত শুনানির পর দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বলেন, আগের মানুষ আর নাই। তখনকার মানুষের একটা চরিত্র ছিল। এখন কোনো একটা চাকরির জন্য চারিত্রিক সদন নিতে গেলেও চেয়ারম্যান সাহেবরা টাকা নেন। টাকা খেয়ে সালিশে কথা বলেন। আগে তো ২৫-৩০ বছর একজনই চেয়ারম্যান থাকতেন, কোনো অভিযোগ শোনা যেত না। বিচারপতি বলেন, এখন মানুষ বাড়তেসে কিন্তু ম্যান অব কোয়ালিটি কমতেসে।
গত বছরের ১১ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১৪ টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণাও করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের কয়েক দফা আবেদনের প্রেক্ষিতে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত রাখে আপিল বিভাগ। ইতিমধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই লিভ টু আপিলের শুনানিই মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।