পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। শুধু লাভ নয়, টার্গেট বাস্তবায়ন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরকারি ব্যাংকটি। চলতি বছর শীর্ষে যাওয়ার লক্ষে ১৯৭২ সালের লোগোতে ফিরে গিয়ে নতুন রূপে হাজির হয়েছে ব্যাংকটি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশা ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পরিবর্তিত লোগো উম্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন লোগোর মোড়ক উন্মোচন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি হাসনে আলম, মোরশেদ আলম খন্দকার, জিএম কাইসুল হক, ওয়াকার আহমেদ খান, আলতাফ হোসেন, মাঈন উদ্দিনসহ রূপালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, গত বছর (২০১৭) আমাদের ব্যাংকের ¯েøাগান ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। ¯েøাগান অনুযায়ী বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে আমরা তাতে সফল হয়েছি। এবার আমাদের লক্ষ্য শীর্ষে ওঠার অর্থাৎ চলতি বছর ব্যাংকটির টার্গেট শীর্ষে স্থান দখল করার। আশা করি এবারও সফল হব।
ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, আগের বছরের ১০০ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে গত বছর আমরা ৫৩৭ কোটি টাকা লাভ করেছি। অর্থাৎ আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, চলতি ২০১৮ সালে সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষে কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের প্রথম লোগেতে ফেরা। নতুন এই লোগোতে দ্বি-রঙা জাতীয় পতাকার সামঞ্জস্য রেখে একটি সবুজ বটগাছ ঘিরে রয়েছে লাল একটি বৃত্ত। এমডি বলেন, ১৯৭২ সালে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় এটাই ছিল মূল লোগো। ১৯৭৭ সালের পর বেশ কয়েকবার এই লোগো পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা এখন মূল রূপে ফিরে গেলাম।
তিনি বলেন, আগের চেয়ে ব্যাংকের কম সংখ্যকসংখ্যা শাখা লোকসান করছে। বর্তমানে লোকসানি শাখার সংখ্যার মাত্র ৩৩টি। যা গত দুই বছর আগেও ছিল ১৪৪টি। ব্যাংককে লাভের মুখ দেখানোর জন্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাবনার কোনো সীমা নেই। এখানে থেকে থাকলে হবে না। সামনের দিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
নতুন লোগোর ব্যাখ্যা দিয়ে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, বটগাছ হলো অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতীক। আগের দিনে গ্রামের বাজার বসতো বটগাছের নিচে। ব্যাংকের শাখার সংখ্যা বিবেচনায় নিলে অন্যসব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ে রূপালী ব্যাংক বেশি সফল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা মাত্র ৫৬৩টি শাখা চালাই, যা অন্য যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখার সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তারপরেও আমরা রুপালী ব্যাংকে এগিয়ে নিতে চাই।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পক্ষে থেকে জানানো হয়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে রূপালী ব্যাংকের জন্য বটগাছ সম্বলিত একটি লোগো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্ধারণ করে দেন। যা ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল। সময়ের বিবর্তনে ও নানাবিধ প্রেক্ষাপটে ১৯৭৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বার লোগোর ধরণ, আকৃতি, রঙ ও অবয়বের পরিবর্তন করা হয়। যেখানে ১৯৭২ সালের নির্ধারিত লোগোর মৌলিকত্ব অনেকাংশেই বিকৃতি ও বিচ্যুত হয়।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে পরিচালনা পরিষদের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রূপালী ব্যাংকের লোগো ও ব্রান্ডিং কালারের চূড়ান্ত রূপ লাভ করলেও ১৯৭২ সালের প্রাথমিক লোগোটি তার মৌলিকত্ব ফিরে পায়নি।
২০১৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান ব্যাংকের লোগোটি নানাবিধ পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চলমান লোগোটির বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে ১৯৭২ সালের মৌলিকরূপে প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। তারই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের সবার সম্মতিতে রূপালী ব্যাংকের লোগো, ব্রান্ডিং কালার ও লেখার ফ্রন্ট চূড়ান্ত করা হয়। এখন থেকে রূপালী ব্যাংকের লোগো হিসেবে পরিবর্তিত নতুন লোগো ব্যবহৃত হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।