Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হযরত গাউসুল আজমের ছোহবতে কোটি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন-আলোচনায় ওলামায়েকেরামগণ

মসজিদে গাউসুল আজমে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহম উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউসুল আজমে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার রাতে আলোচনা ও মোনাজাতে ওলিকুল শিরোমনি গাউছেপাকের ওছিলায় মহান আল্লাহ্র দরবারে রহমত ও নাজাত কামনা করা হয়। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মমতাজীর পরিচালনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, কাগতিয়া দরবারের পীরসাহেব মাওলানা সৈয়দ মুনির উল্লাহ আহমদী, মাওলানা ইদ্রিস আনসারী (চট্টগ্রাম), মাওলানা আবদুল শুকুর ও হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানসহ ওলামায়ে কেরামগণ।
ওলামাগণ ওয়াজে বলেন, ইসলামের সোনালি যুগ অতিক্রান্ত হওয়ার পর মুসলিম বিশ্বে যখন ভ্রান্ত মতামত মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, ঠিক তখনই মুসলিম উম্মাহ সঠিক পথ প্রদর্শক হিসেবে গাউছে পাকের আগমণ ছিল খরার মাঝে রহমতের বৃষ্টির মতো। আল্লাহর রাসূল (সা.) পর্দা করার পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, তাবে-তাবেয়িন ও ইমামদের সোনালি যুগে কুরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়া ছিল ঝলমল। পরবর্তীতে ভোগবাদী স্বার্থাম্বেষী ও বিজাতীয় ষড়যন্ত্রের ফলে উম্মতের ঐক্য নষ্ট হয়ে বিভিন্ন ফেরকার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুসলমানদের বিজয়ের ধারা মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু মহান ওলীগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। তাঁরা শরিয়ত, তরিকত, হাক্কিকত ও মারিফাতের ঝান্ডা নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও খানকা। এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। অপরদিকে ছিল শাসনকার্যের দফতর তথা ক্যান্টনমেন্ট স্বরূপ। এসব খানকা থেকেই এলমি রুহানি যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মর্দে মুজাহিদ। যারা ঘর ছেড়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে দ্বীনের প্রচার প্রসারে বের হয়ে কাজ সম্পন্ন করে ওফাত লাভ করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছিলেন, হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)। বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জামানায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ হাজির থাকতেন। তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহŸান শুনে অনেকেই আর ঘরে না ফিরে ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তাদের নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলীগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। এ মহান ব্যক্তির ৫৪ জন সন্তানের পরবর্তী বংশধরগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন।
মাহফিল শেষে গভীর রাতে মিলাদ কিয়ামের পর আখেরী মোনাজাত করেন মাওলানা ইদ্রিস আনসারী।



 

Show all comments
  • ২ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:৩৩ এএম says : 0
    মহান আল্লাহ হুজুর কেবলার হায়াত বাড়িয়ে দিক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ