পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালী ব্যুরো : নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে মোবাইল ব্যবসায়ীসহ ২জন হত্যা মামলায় ১৩ আসামীকে ফাঁসির দ-াদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে আরো ৩ আসামীকে ৪ লাখ টাকা অর্থদ- করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এ এন এম মোরশেদ খান এ দ-াদেশ প্রদান করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হলো, কামরুল হাসান সোহাগ প্রকাশ সোহাগ ডাকাত, জিসান বাহিনীর প্রধান সোলায়মান হোসেন জিসান, তোফাজ্জল হোসেন জাবেদ, সুজন, এলজি কামাল, মুন্না, সামছুদ্দিন ভুট্ট, জুয়েল, রাশেদ ড্রাইভার, আব্দুস সবুজ, আলী আকবর সুজন, সাহাব উদ্দিন ও সামছুদ্দিন সামসিয়া। এদের মধ্যে জিসান বাহিনীর প্রধান সোলায়মান হোসেন জিসান ও এলজি কামাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ফাঁসির দ-াদেশ প্রাপ্ত আলী আকবর সুজন আদালতে হাজির ছিল। এছাড়া অপর ১০জন আসামী পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা জামে মসজিদ মোড় সংলগ্ন মোবাইল ফেয়ার-এর মালিক ফিরোজ কবির মিরণ, তার ভাই সামছুল কবির রুবেল ও দোকানের কর্মচারী সুমন পাল দোকান বন্ধ করে নাপিতের পোল সংলগ্ন বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে মাইজদী পিটিআই-এর সম্মুখে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস যোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিজেদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে রিকসার গতিরোধ করে তাদেরকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠায়। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে মিরণসহ তিনজন মাইক্রোর ভিতরে সন্ত্রাসীদের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রথমে সুমন পালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গাড়ী থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে সন্ত্রাসীরা গাড়ীতে থাকা মিরণ ও রুবেলকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে রুবেল মাইক্রো থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর উক্ত সন্ত্রাসীরা মিরনকেও কুপিয়ে মাইজদী বাজার-গাবুয়া নামক সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ফিরোজ কবির মিরনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি/২০০৭ নিহত মিরন-এর বাবা ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এ এন এম মোরশেদ খান উভয় পক্ষের দীর্ঘ জেরা শেষে উল্লেখিত ১৩ আসামীকে ফাঁসির আদেশ ও একই সাথে মামলার প্রধান আসামী তোফাজ্জেল হোসেন জাবেদকে ২ লাখ এবং মুন্নাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সফিক, বিবাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি এ টি এম মহিব উল্যাহ, এপিপি বোরহান উদ্দিন মোহন, এ এম হাসান মাহমুদ ও দেবব্রত চক্রবর্তী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।