পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অপকর্ম ঢাকতে এবার নানা চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রফেসর ডা. জাকারিয়ার চিকিৎসায় ইচ্ছাকৃতভাবে নকল ওষুধ প্রদানের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত বক্তব্যে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এসব চাতুর্যের আশ্রয় নেয়।
সূত্র মতে, প্রফেসর জাকারিয়ার টক্সিক ডোজ সম্পর্কিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কয়ার হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রফেসর কামরুজ্জামান চৌধুরী চতুরতার সাথে পাশ কাটিয়ে গেছেন। তিনি সেখানে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত নাদির প্রসঙ্গ এনেছেন। যা তিনি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। কারণ, নাদির ভিন্ন রোগের এবং পৃথক ওষুধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ হয়ে থাকে। তাছাড়া নাদির একটি একাডেমিক তথ্য যা ক্লিনিক্যাল প্রাকটিসসহ অন্য কোথাও অনুসরণ করার উদাহরণ নেই। প্রফেসর চৌধুরী তার বক্তব্যে কোয়ালিটি ও ইফিসিয়েন্স অব দি মলিকিউলাস পরীক্ষার কথা বলেছেন। অথচ ডা. জাকারিয়া স্কয়ারের একজন রোগী। কেমোথেরাপির ওষুধটিও সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং প্রয়োগ স্কয়ার কর্তৃপক্ষই করেছে। আর তাই সরকার প্রদত্ত লাইসেন্স অনুযায়ী এ সংক্রান্ত দায়ভার রোগীর ওপর নয়, স্কয়ারের ওপরই বর্তায় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডা. এ এস এম জাকারিয়া বলেন, স্কয়ার কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট রোগের সত্য তথ্য সাধারণভাবে উপস্থাপিত না করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। একই সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করে স্কয়ার হাসপাতাল তাদের অপরাধপ্রবণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি স্কয়ার হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যারা নকল ওষুধ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিক্রি ও প্রয়োগের মাধ্যমে তার চিকিৎসায় অবহেলা করে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে স্কয়ার হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ এস এম জাকারিয়া নকল ওষুধ প্রয়োগের শিকার হন। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন ডা. জাকারিয়া। চিকিৎসায় এ ধরনের অনিয়মের কারণ জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতাল ডা. জাকারিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অপারগতা প্রকাশ করে। এর প্রতিকার চেয়ে গত ২১ জানুয়ারি ডা. জাকারিয়া সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ডাক্তারকেই ভুল চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে হাইকোর্ট। কেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না এর জবাব চেয়েছে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক এবং স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসা দেয়ার ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।